বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있88 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন উপেক্ষা করিয়া চলিতে যুবক ভারত আর রাজি নয়। এই পরিষদের প্রতিষ্ঠায় আমরা এইরূপই বুঝিতেছি । বৃহত্তর ভারত বস্তুটা এক একজন এক এক প্রণালীতে বুঝিয়া থাকেন। ধরুন ভীম নাগের সন্দেশ বস্তুটা কি ? কেহ বলিবে গোলাকার, কেহ বলিবে চক্রণকার, কেহ বলিবে সাদা, কেহ বলিবে মিঠা, কেহ বলিবে কড়াপাক ইত্যাদি । কিন্তু আমি যখন ভীমনাগের সন্দেশ দেখি, তখন দেখি গোচারণের মাঠ । আমার নজরে পড়ে,–পাচ হাজার গরু মরিতেছে, এই সেদিন দেখিলাম চাটগ্নীয়ে গোমরক হইয়াছে। হয়ত চোখে পড়ে চাষের জমি, সঙ্গে সঙ্গে মনে আসে জমিজমার আইনকামুন, আবার ভাবিতেছি রয়্যাল কৃষি কমিশন ইত্যাদি । এশিয়ার প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা সেইরূপ বৃহত্তর ভারত বলিলে কেহ বুঝিতেছে মেসপটেমিয়া, ইজিপ্ট, ব্যাবিলন প্রভূতি দেশ, কেহ বলিতেছে মিশর ও গ্রীসের মাঝামাঝি ক্রীট দ্বীপ, কেহ বলিতেছে মধ্য এশিয়া, কেহ বলিতেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, অথবা শু্যাম, জাপান, কোরিয়া এই সব জায়গায় গিয়া কিছু ঘোটমঙ্গল করা । এই রকম ঘোটমঙ্গল করিতে আমি অনভ্যস্ত নহি, চীনের প্রাচীর, মিশরের পিরামিড, সবই আমার "টপকান’ আছে । তেমনি,—

  • পাইন-ঢাকা পাহাড়ের পায়ে—

দেউল ভাসছে সাগরে যেথায় এসেছি নিপ্পণ শিকফের মাঝে দেউল-দ্বীপ সেই মিয়াজিমায় ।”