বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२@8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন SAeeAAA SAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAAASS S AAAAAA SAeS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SeSeSeeeS S SS অবশু সকল খরচই যে প্রত্যেকে অতি সুবোধ বালকের মতন বলিয়া দিবেন এরূপ বিশ্বাস করিবার কোনো কারণ নাই। কিন্তু মোটের উপর অনেকটা ধরিতে পারিব । বুঝা যাইবে, বাছাই-ব্যবসায় খর্চা লাগে কত । বাজে খরচ না ভাবুকত রাষ্ট্র-সভায় প্রতিনিধি হইবার জন্ত বাঙালীরা টাকা খরচ করিতেছে, ইহা স্বখের কথা। বুঝিতেছি যে,-“ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবার" মতন লোক বাংলায় দেখা দিতেছে ; আর তার জন্য টাকা ঢালিবার উন্মাদনাও আত্মপ্রকাশ করিতেছে। বাঙালী-চরিত্রে বোধ হয় এই একটা নয়। বিশেষত্ব। অন্ততঃ ১৪৷১৫ বৎসর পূৰ্ব্বে এই বিশেষত্ব দেখিতে পাওয়া ষাইত না । যদিও বা দেখা যাইত, তাহা মাত্র দু'দশ জন লোকের ভিতর আবদ্ধ ছিল । কিন্তু আজ ১৯২৬ সনে দেখিতেছি বাংলার প্রত্যেক জেলায়ই গণ্ডা গণ্ড লোক এইরূপ ‘বাজে খরচের” নেশায় মাতোয়ারা । অনেকে হয়ত এই খরচপত্রকে অপব্যয় বিবেচনা করিতেছেন। কিন্তু আমরা ইহাকে ভাবুকতার অন্যতম নিদর্শনরূপে সমাদর করিতে চাই। ইহাতে নিত্য-নৈমিত্তিক হাড়ীকুড়ি ডালচালের সীমানা ছাড়াইয়া খর্চ্যে লোকগুলাকে খানিকটা সুক্ষতের সুখভোগের রাজ্যে চরিয়া বেড়াইবার সুযোগ দেয়। নিজের কথা আর নিজ পরিবারের কথা না ভাবিয়াও মানুষ যে দুই দণ্ড, দুই সপ্তাহ, দুই মাস কাটাইতে পারে আর তাহার জন্ত টাকা ঢালিতে পারে, তাহা আমরা বাঙালীরা পূৰ্ব্বে বড় একটা জানিতাম না। বাছাইয়ের উপলক্ষে বাঙালী সমাজে এক অভিনব আদর্শ-নিষ্ঠা দেখিয়া আনন্দিত হইতেছি ।