বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ミQQ পারিবারিক খরচের নয় দফা সরকারী রাষ্ট্র-সভা অথবা বে-সরকারী কংগ্রেস-কনফারেন্স ইত্যাদির জন্ত খরচপত্রকে আমরা বাজে খরচ বিবেচনা করি না। অবশ্য মাত্রাট কবে কখন কোথায় গিয়া ঠেকে, তাহা যথা সময়ে ভাবিয়া চিন্তিয়া দেখা কৰ্ত্তব্য । সম্প্রতি দেখিতেছি এই পৰ্য্যন্ত যে, দেশের নামে অথবা দেশসেবার গন্ধের জন্ত আমাদের উচ্চশিক্ষিত অথবা সম্পন্ন লোকেরা পয়সা খরচ করিতেছেন । ইহা সুলক্ষণ ।

  • আর্থিক উন্নতি”র তরফ হইতে আর একটা কথা লক্ষ্য করা কর্তব্য । পয়সা খরচ করিবার নতুন নতুন কতকগুলা উপলক্ষ্য বাঙালী ( এবং সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ) সমাজে দাড়াইয়া যাইতেছে । আড়কাঠি বাহাল না করিলে ভোটের বাজারে সওদা করা চলে না । একমাত্র চরিত্রের জোরে কি বিদ্যার জোরে অথবা কৰ্ম্মদক্ষতার জোরে স্বয়ং ভগবানও কোনো মানব-সমাজে ভোট পাইবার উপযুক্ত বিবেচিত হইবেন কিনা সন্দেহ। কচিৎ কখনো দু’এক ক্ষেত্রে একমাত্র গুণের শক্তিতেই ভোট টানিয়া আনা অসম্ভব না হইতেও পারে । কিন্তু সাধারণতঃ সৰ্ব্বত্রই চাই গলাবাজি, কলমের জোর, কথা কাটাকাটি, আর তার জন্ত লেখক ও বক্তা জাতীয় ডজন ডজন লোকের গতিবিধি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সকল লোকের খোর পোষ” জোগানো ভোটপ্রার্থীর পক্ষে আবশ্বক । অর্থাৎ নিজ খাই খরচের সঙ্গে সঙ্গে এই সকল খরচ বাঙালী সমাজে পারিবারিক জীবন-যাত্রার অন্ততম অঙ্গে পরিণত হইতেছে । ১৮৯৫–১৯০৫ সনের বাঙালী জীবন-যাত্রায় আর ১৯২৬ সনের বাঙালী

জীবন-যাত্রায় এই এক প্রভেদ । বুঝিতেছি যে, বাংলায় “কনজাম্পশুন” নামক ধনবিজ্ঞানের পারিভাষিক