বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সুযোগ বা ক্ষমতা পাওয়া যাইবে কিনা সে কথা স্বতন্ত্র। ১৯২৬ সনের বাছাই-কাণ্ডের আন্দোলনটা দেখিয়া যুবক বাঙলা ভবিষ্যতের জন্ত স্বদেশ-সেবার কৰ্ম্মপ্রণালী চুঢ়িতে প্রবৃত্ত হইলে,—আমাদের একটা মস্ত শিক্ষালাভ হইয়া গেল বলিতে পারিব । আর্থিক স্বার্থ ও হিন্দুমুসলমান একটা বদখেয়ালের দলাদলি বাজারে বেশ পাকিয়া উঠিয়াছে । কথায় কথায় “হিন্দুর স্বার্থ", "মুসলমানের স্বাৰ্থ” ইত্যাদি বোল ঝাড় হইতেছে। এই সকল তথাকথিত হিন্দু স্বার্থ, মুসলমান-স্বাৰ্থ ঠিক কোন প্রকৃতির চিজ তাহ স্বদেশ-সেবার তরফ হইতে যাচাই করিয়া দেখা হয় নাই । সে দিকে নজর দেওয়া সম্প্রতি সম্ভব নয় । আর্থিক উন্নতির তরফ হইতে মাত্র এইটুকু বলিতে চাই যে,— সেই দ্বন্দ্ব আমাদের কোঠে অজ্ঞাত। যে-যে প্রণালী অবলম্বন করিলে বাংলার চাষী মজুর কেরাণী শিল্পী ও বণিক পরিবারগুলা দুই বেলা পেট পূরিয়া খাইতে পারিবে, শীতকালে গায়ে আলোয়ান জড়াইবে, গরমেবর্ষায় ছাত মাথায় দিবে, স্বাস্থ্যকর ঘরবাড়ীতে শুইতে পারিবে, ইস্কুলকলেজে পড়িতে পরিবে, অসুখ হইলে ডাক্তার-কবিরাজ-হাকিম ডাকিতে পারিবে আর সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু টাকাও জমাইয়া রাখিতে পরিবে, —সেই প্রণালী-গুলা বাঙালী হিন্দুর পক্ষেও য’, বাঙালী মুসলমানের পক্ষেও তাই । ধনবিজ্ঞানে জাতি-ভেদ, বর্ণ-ভেদ, ধৰ্ম্ম-ভেদ, ভাষা-ভেদ নাই । এ হইতেছে অতিমাত্রায় সনাতন, বিশ্বজনীন বিজ্ঞান। আর্থিক উন্নতির ঝাও খাড়া করিলে হিন্দু এবং মুসলমান উভয়েই ঐক্যবদ্ধ হইতে বাধ্য। যদি অনৈক্য দেখা যায়, সে অনৈক্য আসিবে ধনী-নিধনে, মজুর-মালিকে,