বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ૨૭જે আন্দোলনই যেন ফেল মারিল এই ধরণের একটা সন্দেহ মাথা তুলিয়াছে। আর বাঙালীর ভবিষ্যৎ শিল্প-বাণিজ্য সম্বন্ধেও ঘোরতর দুশ্চিন্তা দেশের নানা মহলে দেখা দিয়াছে। একটা নৈরাপ্ত ও কৰ্ম্মবিহবলতা দেশমুদ্ধ লোককে ছাইয়া ফেলিতেছে। এই ব্যাঙ্কট বাঙালীর “সবে ধন নীলমণি" নয় কিন্তু দেশের অবস্থাটা তলাইয়া মজাইয়া দেখিলে অত্যধিক দুশ্চিন্তা বা দুঃখবাদের কারণ আছে বলিয়া মনে হইবে না । আজ যদি ১৯০৭৷১০ সন হইত তাহা হইলে হয়ত বাঙালী সমাজে বাস্তবিক পক্ষে গভীর নৈরাষ্ঠের ঠাই থাকিত । এমন কি ১৯১৪৷১৫ সনের অবস্থা থাকিলেও আজ বাঙালীর পক্ষে অতি বড় দুৰ্দ্দিন বিবেচনা করা যুক্তিসঙ্গত হইত। কিন্তু আজ . ৯২৭ সনে বেঙ্গল ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক বাঙালী জাতির “সবে ধন নীলমণি” নয়। কলিকাতার ক্লাইভ ষ্ট্রাটে এই ব্যাঙ্কের একটা ঠিকানা ছিল বটে। তাহাতে বাঙালী জাতির ইজ্জত খানিকটা বাড়িয়াছিল সন্দেহ নাই । কিন্তু আজ বাংলার নরনারীকে খোলা চোখে দুনিয়া দেখিা বেড়াইতে হইবে । তাহা হইলেই দেখিব যে,—জলপাইগুড়ির বড় ব্যাঙ্কট আর যশোহরের বড় ব্যাঙ্কটা প্রত্যেকেই কলিকাতার এই তথাকথিত “জাতীয়” প্রতিষ্ঠানের প্রায় জুড়িদার। আর এই দুইটার ধনশক্তি এবং কৰ্ম্মপরিমাণ একত্র করিলে বেঙ্গল দ্যাশন্যাল ব্যাঙ্ক তাহার নিকট কানা হইয়া যাইত । বেঙ্গল ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের গায়ে “স্কাশন্যাল” দাগটা দেখিবামাত্র তাহার ভিতর সমগ্র বাঙালীর সমবেত কৃতিত্ব দেখিতে বসা আহাম্মুকি। স্বদেশী আন্দোলনের জোয়ারের সময়ে এই প্রতিষ্ঠান জন্মিয়াছিল বলিয়া