বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳe নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এইটাকেই বাঙালীর একমাত্র স্বদেশী ব্যাঙ্ক-কারবার সমঝিতে গেলে অন্যায় করা হইবে । বাংলার জেলায় জেলায় জয়েণ্টষ্টক ব্যাঙ্ক ংলার নরনারী আজ দশ বার বৎসর ধরিয়া জেলায় জেলায়, মহকুমায় মহকুমায়, পল্লীতে পল্লীতে বহুসংখ্যক লোন অফিস ও অন্যান্য ব্যাঙ্ক চালাইতেছে । এইগুলার প্রত্যেকটাই বেঙ্গল ন্যাশন্যাল ব্যাঙ্কের মতই “জয়েণ্টষ্টক লিমিটেড কোম্পানী। তাছাদের প্রায় প্রত্যেকটাই বেঙ্গল ন্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের মতনই নানা প্রকার ব্যাঙ্ক করবার চালাইয়া থাকে । তাহাদের প্রত্যেকটাই বিভিন্ন পরিচালকের সমবেত মস্তিষ্কের জোরে চালানো হইয়া থাকে । তাহদের প্রত্যেকটারই আয়-ব্যয় পাশ-কর অডিটার কর্তৃক পরীক্ষিত হইয়া থাকে । তাহদের প্রত্যেকটাই ফী বৎসর ব্যালান্স শীট বা উদ্বর্তপত্র প্রচণর করিতে অভ্যস্ত । এই সকল কথা “আর্থিক উন্নতি"র পাঠকদের পক্ষে নতুন সংবাদ নয় । এই সকল ব্যাঙ্ক গুনতিতে বড় কম নয়। সংখ্যায় ইহারা প্রায় শ’ চারেক। বুঝিতে হইবে যে, বাংলাদেশে “আধুনিক রীতির” ব্যাঙ্ককারবার আর তাহার আনুষঙ্গিক ব্যবসা-বাণিজ্য আজ কোনো তথাকথিত স্বদেশী ব্যাঙ্কের বা ব্যাঙ্ক-পরিচালকের একচেটিয়া কেরদানির উপর নির্ভর। করে না । বাঙালী জাতি কয়েক বৎসর ধরিয়া খুব বিস্তৃত ও গভীর ভাবে ব্যাঙ্ক-ব্যাবসাটাকে শক্ত মুঠার ভিতর পাকড়াও করিতে চেষ্টা করিতেছে। বাংলার মফঃস্বলকে যাহারা অগ্রাহ করিয়া চলেন প্রধানতঃ র্তাহারাই কলিকাতার একটা প্রতিষ্ঠানের অকালমৃত্যুতে হাহুতাশ করিতে থাকিবেন মাত্র। কিন্তু এইরূপ হাছতাশ কোনক্রমেই যুক্তিসঙ্গত বলিয়া মনে হয় না ।