বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳՀ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন AeeSAYEeeSeeeSeeeSeeSeeSeSeSE eeeS SeSeSeMeeA ac AAAA SAS S S AAAAA AAAA AAAAS MSMSAeS eee Se S SAAAS AAAAAA Ae AAAA AAAA ASAS A Ae AA Ae SeeAAA AAAS AAAAA AAMeSeSeAAA AAAA AAAA eeeS SeSeSASAeAeeeSeAAAA লোকসান লেখা আছে তাহদের দুরবস্থায় সহানুভূতি দেখানো ছাড়া আমাদের পক্ষে আর কিছু কবা সম্ভবপর নয়। এই সকল নানা শ্রেণীর ক্ষতি হজম করিয়াও বলিতেছি যে, বাংলাদেশের কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য এই ব্যাঙ্কের পতনে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হইতে পারে না। যে সমাজে শ’চারেক ব্যাঙ্কের সঙ্গে গৃহস্থালী, মহাজনী, জমীদারি আর আধুনিক আমদানি-রপ্তানি সু-জড়িত, সেই সমাজে একটা মাত্র ব্যায়ের ফেল-মারায় আর্থিক জীবনের পক্ষে অত্যধিক আলোড়িত হওয়া অসম্ভব । ব্যাঙ্কটা ফেল মারিল কেন ? ব্যাঙ্কের টাকা-কড়ির হিসাব যতদিন আইনের চোখে যাচাই না হয়, ততদিন কানাযু্যা নানারকম চলিবে । কিন্তু এই সব কানাঘুষায় কান না দিয়াও একটা কথা এখনি বলা চলে । ব্যাঙ্কফেলের কারণ সৰ্ব্বত্রই একরূপ । যে টাকাটা লোকের নিকট হইতে অীমানত স্বরূপ জমা হইতেছে, সেই টাকাটা অন্তান্ত লোকের নিকট কারবারে খাটাইবার জন্ত ধার দিতে হইবে । আমানতকারীরা যদি যখন তখন টাকা তুলিয়া লইতে চায়, তাহা হইলে “বেশীদিন ধরিয়া কোনো কারবারে থাটাইবার জন্য টাকা ধার দিলে ব্যাঙ্কের পক্ষে দুর্য্যোগ ঘটিবার সম্ভাবনা । কয়েক বৎসর হইল রোমের “ইতালিয়ানা দি স্কন্ত” ব্যাঙ্ক এই দুর্যোগেই চিৎ হইয়াছিল। বেঙ্গল দ্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের হিসাবপত্র যে দিন বাজারে বাহির হইবে সেদিন হয়ত ঠিক এইরূপ দুর্ষোগের তথ্যই বেশ মোটা হারে পাওয়া যাইবে । ব্যাঙ্ক যে-সকল কারবারকে টাকা ধার দিয়াছিল তাহারা “অল্প সময়ের” ভিতর অথবা "যথাসময়ে” হয়ত টাকা ফেরৎ দিতে সমর্থ নয় । এই গেল ব্যাঙ্ক ফেলের সর্বাপেক্ষী সহজ, সনাতন ও সাৰ্ব্বজনীন কারণ । তবে প্রায় সৰ্ব্বত্রই অন্যান্য “হযবরল”ও থাকে বিস্তর। সেদিকে সম্প্রতি মাথা ঘামাইবার দরকার নাই ।