বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়তির পথে বাঙ্গালী ՀԳe শাপে বর, - আত্ম-সমালোচনার সূত্রপাত “শাপে বর” হইতে চলিল মনে হইতেছে । এই বিশ-বাইশ বৎসর ধরিয়া আমরা জীবনের নানাক্ষেত্রে স্বদেশী আন্দোলন চালাইয়া চলিতেছি । কিন্তু এই আন্দোলনের সু-কু আমরা স্বাধীনভাবে পরখ করিয়া দেখিতে সাহসী হই নাই । সৰ্ব্বত্রই আমরা নামজাদা লোকের মতামত, পয়সাওয়ালা লোকের কৰ্ম্ম-কৌশল, স্বাৰ্থত্যাগী বীরবরের পাণ্ডিত্য, তথাকথিত বিশেষজ্ঞের কৰ্ম্ম-কেরদানি বিনা বাক্যব্যয়ে পূজা করিয়া চলিতে অভ্যস্ত। পূজা খাইতে খাইতে আমাদের “জন-নায়ক” *ওস্তাদ” “মহাপ্রভুদের” ভূড়ি পুরু হইয়া গিয়াছে । আর আমাদের দেশের লোকও নিজ নিজ চিন্তাশক্তিকে ভোতা করিয়া ছাড়িয়ছে । প্রত্যেক মানুষের মগজেই যে কিছু কিছু ঘী থাকে সেই খেয়াল নিৰ্ব্বাসিত হইয়াছে । আত্ম-সমালোচনা আমাদের সমাজে এক প্রকার নাই । দেশের দোষ থাকিতে পারে—এইরূপ চিন্তা করা পর্য্যস্ত পাপ বিবেচিত হইয়া আসিতেছে । এমন অবস্থায় একটা নামজাদা স্বদেশী কিছু কাৎ হইয়া পড়ায় প্রকারান্তরে একটা মস্ত লাভই হইয়াছে । এইবার বেশ জোরের সহিত আত্ম-সমালোচনা নামক আধ্যাত্মিক দাওয়াই বাঙালী সমাজে কাজ করিতে থাকিবে । “ষত দোষ নন্দ-ঘোষ”—এই নীতি আর যখন তখন বাজারে চলিবে না । আমাদের চরিত্রেও কতক গুলা দুৰ্ব্বলত আছে,—বাংলার নরনারীকে কৰ্ম্মদক্ষতায় বড় হইতে হইবে,—ভারতীয় সমাজে মগজ-মেরামতের জন্ত স্বতন্ত্র আন্দোলন আবশু্যক ইত্যাদি খেয়াল দেশের নানা ঘাটিতে এক সঙ্গে দেখা দিবে বলিয়া বিশ্বাস করিতেছি । আত্মসমালোচনার স্বত্রপাত হইলেই যুবক ভারতে একটা নবযুগ স্বরু হইবে । বেঙ্গল ন্যাশন্তাল ব্যাঙ্কের অকালমৃত্যু যুবক বাংলাকে কানে >br