বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રbr8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কোথাও দেখিতেছি হিন্দু সমাজের মাতব্বরেরা নগরের স্বাস্থ্য-রক্ষায় মাথা ঘামাইতেছে। কোথাও বা পণ্টনের খোরপোষ ষোগাইবার জন্ত ধন-সচিবেরা শশব্যস্ত। কখনও জনগণকে আত্ম-কর্তৃত্বের সাধনায় নিরত দেখিতেছি । কখনও বা অসংখ্য পরস্পরবিচ্ছিন্ন জনপদগুলাকে ঐক্য গ্রথিত করিবার দিকে রাষ্ট্র-ধুরন্ধরদের মেজাজ খেলিতেছে। এই আবহাওয়ায় হিন্দুজাতি শক্তি-যোগী এবং টঙ্কর-প্রিয়। ভারতের নরনারী এই সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রে হিংসা-ধৰ্ম্মী এবং বিজিগীষু। রাষ্ট্রীয় লেনদেনগুলা,—কি “তন্ত্রে”র কাজকৰ্ম্ম, কি আবাপে”র কাজকৰ্ম্ম,—সবই ভারতবাসীর হাতের জোরের আর মাথার জোরের প্রতিমূৰ্ত্তি। প্রত্যেক সেনা-চালনায়, প্রত্যেক খাজন-সংগ্রহে, প্রত্যেক “শ্রেণী”-স্বরাজে আর প্রত্যেক জমি জরীপে লোকগুলার রক্তের স্রোত ছুটিতেছে আর মাথার ঘাম পায়ে পড়িতেছে । সেই রক্তের স্রোত আর মাথার ঘামই রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের আসল উপকরণ। হিন্দু রক্ত-দরিয়ার তেজ মাপিতে চেষ্টা করাই বর্তমান গ্রন্থের উদ্দেশু । জরীপ করিবার যন্ত্র রক্তের তেজ মাপিতে হইবে । কেমন করিয়া ? মাপ-কাঠি কোথায় ? জরীপ করিবার ধগ্রটা কৈ ? যাহা জানা আছে তাহার সাহায্যে অথবা তাহার তুলনায় অজানাকে জানিবার চেষ্টা করা যাইতে পারে। জানা আছে বর্তমান জগৎ । অতএব বর্তমান জগতের মাপ কাঠিতে খৃষ্ট-পূৰ্ব্ব চতুর্থ শতাব্দী হইতে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্য্যন্ত হিন্দুজাতির রাষ্ট্র-সাধনা জরীপ করা সম্ভব।