বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি 3b"Φ [ S ] পদার্থ-বিজ্ঞানের রাজ্য হইতে একটা দৃষ্টান্ত দিব । আৰ্য্যভট্ট, বরাহমিহির, ভাস্করাচাৰ্য্য ইত্যাদি ভারতীয় গণিত-পণ্ডিতদের বিদ্যার দৌড় কতটা ? মাপা সম্ভব একমাত্র তাহার পক্ষে যে জানে নিউটন, ম্যাকসোয়েল, আইনষ্টাইন ইত্যাদির মৰ্ম্মকথা । সেইরূপ পতঞ্জলি, নাগাৰ্জ্জুন ইতাদির হিন্দু-রসায়নের কিন্মং বুঝে কে ? যে বুঝে উনবিংশ আর বিংশ শতাব্দীর “রস-রত্ন-সমুচ্চয়” বা রসায়ন-সমুদ্র কি চিজ। চরক মুশ্রত ইত্যাদি সম্বন্ধেও এই “ফৰ্ম্ম লা”ই লাগিবে । ইত্যাদি ইত্যাদি। এই তুলনায় প্রাচীন ভারতকে লজ্জিত হইতে হইবে সন্দেহ নাই । কিন্তু এই লজ্জা একমাত্র হিন্দুরক্তের লজ্জা নয় । গোটা প্রাচীন দুনিয়াই,--জীবনের সকল কৰ্ম্মক্ষেত্রেই উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর তুলনায় “সেকেলে”। পশ্চিমা পণ্ডিতেরা এই কথাটা মনে রাখিতে অভ্যস্ত নন । তাহারা প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানকে বর্তমান জগতের আসরে বসাইয়া মনের সুখে ভারত-মাতাকে বে-ইজ্জৎ করিতে ভালবাসেন । গ্রীক রোমাণ এবং “ক্যাথলিক-খৃষ্টিয়ান” ইয়োরোপের অজ্ঞান, কুসংস্কার, “তুকমুক” “হাচি,” “টিকটিকি,” “ভূতুড়ে কাণ্ড” এবং লাখ লাখ অন্যান্ত বুজরুক তাহারা বেমালুম ভুলিয়া যান। আর ভারতসন্তানেরা প্রাচীন এবং মধ্য যুগের ইয়োরোপীয়ান সভ্যতা-অসভ্যতা এবং মু-কু সম্বন্ধে প্রায় একদম কিছুই জানেন না। কাজেই পশ্চিমাদের সঙ্গে তর্ক করিতে অপারগ হইয়া ভারত সম্বন্ধে লজ্জায় অধোবদন হইয়া থাকা এতকাল আমাদের দস্তুর রহিয়াছে ।