বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S bror নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন শুল্ক ও খাজনার নাম ইত্যাদি শুনিবা মাত্র এই গুলার “কুলশীল” বলিয়া দেওয়া কঠিন বিবেচিত হইবে না । রাজা, রাজপদ, রাজশক্তি ইত্যাদি বস্তু দুনিয়ায় আবহমান কাল ধরিয়া চলিতেছে । কিন্তু কালিদাস-শেক্সপীয়ারের “রাজা” যে চিজ, বৈদিক সাহিত্য বা “ইলিয়াদ-ওদিসি”র “রাজা” সেই চিজ নয়। *রাজশব্দোপজীবী” যে কোনো ব্যক্তির রক্ত অনুবাণে পরখ করা যাইতে পারে করিলেই বুঝা যাইবে ইহার ভিতর তাসিতুস-বিবৃত জাৰ্ম্মানরাজা, না “জাতক সাহিত্যের” গণ-রাজা, না ফ্রান্সের “বুর্ব” বাদশ, না মৌর্য্য “সাৰ্ব্বভৌম", না আধুনিক ইংরেজ সমাজের হাতপা-ঠট-করা রাজ আত্মপ্রকাশ করিতেছে । অন্যান্য কোষ্ঠীর মতন রাজ-রক্তের কোষ্ঠিতেও গণকেরা যুগ ও জাত খোলসা করিয়া দিতে সমথ । গড়ন-বিজ্ঞান খাটাইয়া হিন্দুজাতির মূৰ্ত্তি-পরিচয় প্রদান করা হইতেছে। মান্ধাতার আমল, আদিম সমাজ, প্রাচীন দুনিয়া, মধ্যযুগের খৃষ্টিয়ান বিশ্বরূপ আর বর্তমান জগৎ ইত্যাদি নৃতত্ত্ব-বিদ্যার শব্দগুলা প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সন তারিখ দিয়া বাধিয়া রাখিয়াছি । মোজামিলের সম্ভাবনা নাই । এই সকল পারিভাষিক শব্দ পশ্চিমা পণ্ডিতেরা নেহাৎ অসতর্ক ভাবে ব্যবহার করিতে অভ্যস্ত,—বিশেষতঃ যখন ভারতীয় এবং প্রাচ্য তথ্য লইয়া তাহদের কারবার চলে । এই জন্য রাষ্ট্র-বিজ্ঞানের আসরে শ্নোজামিল ও কুসংস্কার প্রবেশ করিয়াছে। সেই কুসংস্কার এবং মোজামিল চলিতেছে আজকালকার ভারতীয় পণ্ডিতগণের ভারত-তত্ত্ববিযয়ক আলোচনার আসরেও । দেশী এবং বিদেশী দুই প্রকার পণ্ডিতের বিরুদ্ধেই বর্তমান গ্রন্থ লড়াই ঘোষণা করিতেছে ।