বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৮৭ এই সমস্যা লইয়া দিন রাত ব্যাপৃত আছেন । কথাটার মধ্যে হেঁয়ালি কিছুই নাই । “বুদ্ধদেবের দাত” নামক বস্তু “আবিষ্কৃত” হইবা মাত্র এই কারণেই অস্থিতত্ত্ববিৎ মহলে লড়াই উপস্থিত হওয়া সম্ভব । বস্তুটা যে শূরের দাত নয় আগে তাহার মীমাংসা করা দরকার হইয়া পড়ে । ভূতত্ত্ববিদেরাও এই ধরণের গবেষণায়ষ্ট অভ্যস্ত। একটুকরা পাথর অথবা কয়লার চাপ বা এমন কি ধূলা বালুর নমুনা পাইলেই তাহার বলিয়া দিতে পারেন দুনিয়ার কোন কোন মুলুকের কত হাত মাটীর বা “পাণি’র নীচে অথবা কোন পাহাড়ের ডগায় এই সব মাল পাওয়া ইবার সম্ভাবনা । রূপ-বিজ্ঞান মানুষের বেলায়ও থাটে । দলবদ্ধ মাচুৰ্য বা সমাজ এবং সমাজের রাষ্ট্রীয় "তন্ত্র” ও “অ বাপ" অথাৎ ধরে-বাইরের সকল প্রকার লেন-দেন সম্বন্ধে ও সফ লজি বা গড়ন-তত্বের “রূপ-কথা” খাটিবে । অনেক স্থলেই হয়ত “অল্পবীণ"যন্ত্রের অর্থাৎ "ইণ্টেনসিভ বা গভীর দৃষ্টিশক্তির এবং সমালোচনা-শক্তির দরকার। কিন্তু সৰ্ব্বত্রই বিশ্বব্যাপী যুগ-বিভাগ, স্তর-বিভাগ, জাতি-বিভাগ, উপজাতি-বিভাগ ইত্যাদি শ্রেণী-বিন্যাস কায়েম করা সম্ভব । তথ্য “বিশ্লেষণ" সম্বন্ধে সৰ্ব্বদা সতর্ক থাকিলেই হইল । পল্লীৰ্জাবনের একচাপ দেখিবা মাত্র কখনো হয়ত বলিব এটা “আদিম” । কখনো বা “প্রাচীন” বলিয় তাহার জাতি-নির্ণয় করা হইবে। আবার “মধ্যযুগের” পল্লী এবং "বর্তমান” যুগের পল্লী হত্যাদি বস্তু ও স্বতন্ত্র নিদর্শনের জোরে প্রতিষ্ঠিত হুইবে । সেইরূপ লড়াইয়ের কায়দা বা জমিজমার বন্দোবস্ত দেখিলেই এই সবের “দেশ কাল পাত্র" ঠাওরানো সম্ভব । অস্ত্রশস্ত্রের ঝনঝনানি,