বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રાજે ૬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন থিয়োরিজ অব দি হিন্দুজ ’ অর্থাৎ “হিন্দু জাতির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্র-দর্শন” নামক ইংরেজি গ্রন্থ প্রচারিত করিয়াছি । এক্ষণে তাহার প্রথম অংশের খানিকটা বাংলায় লিখিবার সুযোগ পাওয়া গেল । বৰ্ত্তমান গ্রন্থে হিন্দুজাতির রাষ্ট্রীয় “চিন্তা” বা “রাষ্ট্র-দশন” সম্বন্ধে কোনো কথা নাই । অধিকন্তু “প্রতিষ্ঠানে'র বৃত্তান্ত হিসাবেও এই কেতাবের মাল পূৰ্ব্বোক্ত ইংরেজি রচনার মাল হইতে কিছু কিছু পুথক । যাহা হউক,—বঙ্গদেশস্থ জাতীয় শিক্ষা-পরিষদের আমুকুল্যে এই গ্রন্থ প্রকাশের সুযোগ জুটিয়াছে বলিয়া নিজকে ধন্ত মনে করিতেছি । ইতিমধ্যে ১৯২১ সালে “পজিটিহুব ব্যাকগ্রাউণ্ড” গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম ভাগ বাহির হইয়াছে । তাহাতে আছে একমাত্র “রাষ্ট্ৰ-দৰ্শন” আর প্রধানতঃ শুক্রাচার্য্যের মতামতই তাহার ভিতর ঠাই পাইয়াছে । আথেনীয় “স্বরাজের” অনুপাত ভারতে রাষ্ট্র-বিজ্ঞান সম্বন্ধে পঠন-পাঠন আজকাল কতটা হয় বলিতে পারি না । এই বিদ্যা বিষয়ক এম, এ পরীক্ষা পূৰ্ব্বে ছিল । এখনো আছে নিশ্চয় । বোধ হয় আজকাল পি, এইচ, ডি ও চলে । ( > ) কিন্তু গোড়ায় গলদ । এশিয়ার সঙ্গে তুলনায় গ্রীস, রোম এবং মধ্যযুগের ইয়োরোপকে পশ্চিমা পণ্ডিতেরা যে চোখে দেখিয়া থাকেন আমরাও বিনা বাক্য ব্যয়ে গোলামের মতন ঠিক সেই চোখেই দেখিতে শিখিয়াছি। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর পূৰ্ব্বেকার ইয়োরোপকে রক্তমাংসের মানুষ ভাবে দেখিবার এবং বুঝিবার চেষ্টা আমরা করি নাই ।