বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্র-সাধনায় হিন্দু-জাতি ২৯৩ অধিকন্তু, ইংল্যাণ্ডই ইয়োরোপের এক মাত্র দেশ নয়। আর, সৰ্ব্বত্রই "মাৎস্ত-স্যায়” আর বংশে বংশে “ষাড়ের লড়াই” ইতিহাসের প্রধান তথ্য । রাষ্ট্ৰীয় ঐক্য, ভাষাগত ঐক্য, “হাশন্তালিটী" ইত্যাদি বোল চাল “খৃষ্টিয়ান” অভিজ্ঞতায় মিলে কি ? মিলে না। তুর্ক-মুসলমানের যখন ইয়োরোপকে ছারখার করিয়া ছাড়িতেছিল তখন খৃষ্টিয়ান হোনিস তাহাদের সঙ্গে দোস্তি পাতাইতে লজ্জা বোধ করে নাই। আলেকজান্দারের আমল হইলে বুর্ব আমল পৰ্য্যন্ত ইয়োরোপীয়ানরা আত্মকর্তৃত্বহীন স্বরাজ-শূন্ত পরপীড়িত জাতি। বাদশার যথেচ্ছাচার আর জমিদারের অত্যাচার ছিল এই সকল নরনারীর সনাতন “কন্‌ষ্টটিউশ্যন” বা রাষ্ট-ধৰ্ম্ম । নারীজাতীকে বে-ইজ্জৎ করিতে গ্ৰীক আইন, রোমাণ আঠন এবং “খৃষ্টিয়ান’ আইন সমান ওস্তাদ । ইয়োরোপীয়ান “সমাজে” নারীর ঠাই কোনো দিনই সম্মান সুচক বা এমন কি “সহনীয়”ও ছিল না ; কথাটা বোধ হয় বিশ্বাসযোগ্যই বিবেচিত হইবে না । জাৰ্ম্মাণ পণ্ডিত বেবেলের গ্রন্থ ধাটিয়া দেখিলেই আপাততঃ চলিবে। পরে আর ও "ইন্টেন্‌সিহব’ “রিসার্চ’ বা গভীরতর খোজ চালানো যাক্টতে পারে। ভূমি-গত গোলামী ইয়োরোপীয়ান কিষাণ সমাজ হইলে বিদূরিত হইয়াছে কবে ? অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে এবং উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে । লাম্‌প্রেকৃঢ়, ব্যিশ্বর, সোস্বার্ট ইত্যাদি জাৰ্ম্মাণ পণ্ডিত-প্রণীত আর্থিক ইতিহাস বিষয়ক রচনা গুলা পাকা সাক্ষ্য দিবে। এখনো ইতালিতে, পোল্যাণ্ডে এবং বন্ধান অঞ্চলে সেই ভূমি-গোলামি কিছু কিছু চলিতেছে ।