বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

さぬや নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কি নগরজীবন, কি শিক্ষা-প্রণালী, কি পদার্থ-বিজ্ঞান, কি দর্শন-শাস্ত্র এই সকল বিষয়ের ইয়োরোপীয় ধারা সম্বন্ধে প্রায় প্রত্যেকেই অনভিজ্ঞ । কথাটা ভারতবাসীর মরমে প্রবেশ করিবে কি ? ইংরেজ গাড়োয়ানরা শেকস্পীয়ারের ভাষায় কথা বলিতে পারে, হাসিঠাটাও করিতে পারে। কিন্তু তাহা বলিয়া ইংরেজ মাত্রকেই শেকস্পীয়ার সম্বন্ধে ওস্তাদ বিবেচনা করা চলিবে কি ? হিন্দু মাত্ৰেই “মহাভাষ্য" "সূৰ্য্য সিদ্ধান্ত" আর “সঙ্গীত-রত্নাকর" ইত্যাদি গ্রন্থের “বোদ্ধা” বিবেচিত হইবে কি ? সেইরূপ জাম্মান, ইংরেজ, ফরাসী, ইতালিয়ান, মাকিন, রুশ ইত্যাদি ভারত-তত্ত্বের বেপারীরা ইয়োরামেরিকায় জন্মিয়াছেন বলিয়া র্তাহার। খৃষ্টিয়ান ধৰ্ম্ম, গ্রীক দর্শন, রোমান আইন, রেণেস সি যুগের স্থাপত্য, বুব রাষ্ট্রনীতি, সমাজে পাশ্চাত্য নারীর ঠাই আর ইয়োরোপীয় কিষাণদের আর্থিক অবস্থা সবই বুঝেন এইরূপ বিশ্বাস করিলে হাস্তাস্পদ হইতে হইবে । এই সকল বিষয় সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান এক একট। স্বতন্ত্র বিদ্যা । তাহার জন্ত স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র “লেখাপড়া”, গবেষণা, অনুসন্ধান চালানো দরকার । অর্থাৎ পশ্চিমা “ইগুলজিষ্ট "রা আজ পৰ্য্যন্ত ভারত সম্বন্ধে যাহা কিছু লিখিয়াছেন সবই “আলোচ্য বিষয়টার বিজ্ঞানের” কষ্টি-পাথরে ঘষিয়া দেখিতে হক্টবে। সংস্কৃত ফাশী তাহারা যতই জাতুন না কেন প্রত্যেক মিঞাকেই “বাজাইয়া” দেখা আবশ্যক । আমাদের ভাষায় র্তাহীদের দখল আছে বলিয়া তাহাদের পা চাটিতে অগ্রসর হওয়া আহাম্মুকি। পরিবার, সমাজ, ধনদৌলত, রাষ্ট্র, ধৰ্ম্ম, জ্ঞানবিজ্ঞান ইত্যাদি র্তাহারা কতটা বুঝেন তাহার খতিয়ান আগে হওয়া আবশ্যক। তাহার পর ভারতীয় জীবন ও সভাতা সম্বন্ধে তাহাদের মতামত আলোচনা করা যাইতে পারে।