বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন "לצ9\ বিংশ শতাব্দীর যুবক এশিয়া তোমাকে বিপুল অধ্যবসায়ু, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠা এবং কৰ্ম্ম-কৌশলের অবতাররূপে পূজা করিয়া থাকে। হে চীনা ভগীরথ, তুমি হোআংহো ও ইয়াংছিকিয়াঙে তিয়েন্‌চু” ( "স্বর্গ” }-স্থিত গঙ্গা-গোদাবরীর স্রোত বহাইয়াছিলে । মৌর্য্য-গুপ্ত বিক্রমাদিত্যগণের উত্তরাধিকার বদ্ধন-চালুক্যের ভারতবর্ষকে তুমি চীনা সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত কারয়ছিলে। তোমার আমদানি-করা বুদ্ধ-মার্ক হিন্দু সভ্যতার প্রভাবে “চুঙ-হুআ” (“ভূ-মধ্য” । দেশে নব জীবনের ফেয়ার ছুটিয়াছিল। হে কন্‌ফিউশিয়াস্-শাক্যসিংহের সমন্বয়-সাধক, হে বিদ্যা-সঙ্ঘের ধুরন্ধর, আজ তোমার স্বজাতি মরিয়া রহিয়াছে। কিন্তু এই "আঁধার ঘোর” ও “কালিমার” আবেষ্টন ভেদ করিয়াও বিক্রমাদিত্যের বংশধরেরা চীনা সভ্যতার গৌরব-কথা বর্তমান জগতে প্রচার করিতে উদগ্রীব হইতেছে —হোআংহে-ইয়াংছির বারিও গঙ্গা-গোদাবরীতে আনিয়া ঢালিতেছে। প্রাচীন তাঙ-সন্তানগণের বাণী শুনিয়া আর্য্যাবৰ্ত্ত ও দাক্ষিণাত্য জীবনের নব নব সাড়া প্রকটিত করিতেছে। নব্য ভারতের এই বিচিত্র জীবন-স্পনান যুবক চীনকেও জাগাহয় এবং কৰ্ম্মঠ করিয়া তুলিবে। হে চীনা কৰ্ম্মবীর, সহস্রাধিক বর্ষ পরে এইবার তবে ভারতব্য চীনের ঋণ পরিশোধ করিতে চলিল । প্যারিস, ফ্রান্স, ১৯২১