বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক \ף צס . করিয়া লিখিতে সময় জুটে নাই। হয়ত ক্ষমতাও নাই। তবে সবই তাড়াহুড়ায় লেখা,—এক নিশ্বাসে যেরূপ বাহির হইয়াছে প্রায় সকল স্থলে তাহাই রাখিয়া দিয়াছি । ঘষা মাজা সুর করিলে বোধ হয় একদম কিছুই লেখা হইত না । আজও সেই সময়াভাব । যাহারা পরিশ্রম করিয়া সময় লাগাষ্টয়া স্বাভাবিক কবিত্ব শক্তির সদ্ব্যবহার করিতে অভ্যস্ত র্তাহারা এই দিকে নজর দিলে বাঙালীর কাব্যসংসার এক নয়া ঐশ্বর্য্যের অধিকারী হইতে পারবে সন্দেহ নাই । ভারতে চীনা-প্লাদনের যুগ আসিতেছে। আরবী-ও সংস্কৃত-জানা হিন্দুমুসলমান চীনা ভাষা দখল করিয়া বর্তমান ও প্রাচীন চীনের জীবন মন্থন করিতে অচিরেই অগ্রসর হইবেন । আর, তাহদের গভীরতর পণ্ডিত্যের এবং স্বগ্ধতর ভূয়োদর্শনের বিচারে এই ধরণের “চীন সভ্যতার অ, আ, ক, প’ নিতান্ত হাল্কা, তরল ও ছেলেখেলা মাত্র বিবেচিত হইবে । আশা র, সেই দিনের জন্য ভারতবাসীকে অধিক কাল বসিয়৷ থাকিতে উৎসর্গ যুয়ানচ-আঙ, ভারতের হিন্দু তোমাকে চীনের শঙ্করাচায্য বলিয়া জানে ; এশিয়ার মুসলমান তোমাকে চীনের আল-ফারাবি বলিয়া মানে । সপ্তম শতাব্দীর ইয়োরেশিয়ায় তুমি বিজ্ঞানদর্শন-মণ্ডলের সৰ্ব্বোজ্জল জ্যোতিষ্ক ।