বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిని లి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন যুবক ভারত চীন সম্বন্ধে সজাগ। এই যুগে চীন-কথার রকমারি খরিদার ও সমজদার বাঙলা দেশে আছে । তাহদের জন্ত কথা গুলো বলিতেছি । সমালোচকের উক্তিগুলা উপলক্ষ্য মাত্র । তিববত ও চীন বাঙালা দেশে সাধারণতঃ চান বলিলে চীন সাম্রাজ্য বুঝা হইয়া থাকে, অন্ততঃ পক্ষে থাকিত ৷ ইস্কুলে ম্যাপ দেখাইবার সময় মাঞ্চুরিয়া, মঙ্গোলিয়া, তিব্বত ইত্যাদি সবই মোটের উপর চীনের সামিল সমঝিয়া লওয়া বোধ হয় এখনো আমাদের দস্তুর । কাজেই তিব্বত সম্বন্ধে অভিজ্ঞতাবিশিষ্ট কেনো বাঙ্গালী পণ্ডিতকে বঙালীরা চীনতত্ত্বজ্ঞ বুঝিবে তাহাতে আশ্চয্যের বেশী কিছু নাই । চীনা ভাষা আমার প্রবন্ধে আছে, ‘চীনের ভিন্ন ভিন্ন সহরে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা । লোকেরা নানা স্থানে, নানা ভাষায় কথা বলে।” সমালোচক লিখিয়াছেন,—লিখিত চীনে (আমার বিশেষণে চীনা) ভাষার কোনই প্রভেদ নাই । * * তবে প্রদেশ অনুযায়ী উচ্চারণের প্রভেদ আছে । যেমন পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গের কথ্য ভাষার উচ্চারণের প্রভেদ । চীন দেশে বর্তমানে ৮৯ রকমের উচ্চারণ ভেদ আছে।” দেখা যাইতেছে যে আমার রচনায় যেটা ‘‘ভাষার বিভিন্নতা”, সমালোচকের রচনা অনুসারে সেটা “উচ্চারণের বিভিন্নতা” মাত্র । ইহা যদি সত্য হয়, তাহা হইলে ভুলসংশোধনের জন্ত সমালোচকের নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করিতেছি । কিন্তু সমালোচক পরে আর এক জায়গায় লিখিয়াছেন, “বর্তমানে কথিত ভাষা লিখিত ভাষার ভিতর কিছু তফাৎ আছে—আমাদের দেশেও