বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাপানে-চীনে বৎসর দেড়েক \צסס হইতেছে । সবই স্বাভাবিক, সবই সুথের কথা । কিন্তু মাপকাঠিটা আবার সঙ্গে রাখা আবশু্যক । তবে আবার ১৯১৪-১৬ সনের কথা মনে পড়িতেছে। সেই সময়ে যুবক চীনের বিদেশী পি, এইচ, ডি উপাধিধারী নানা বন্ধু আমাকে বলিত, “দ্যাখ। তোদেরকে আমরা খুব হিংসা করি । কেন জানিস্ ? আজকাল যখনই রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির জার্ণালটা খুলি তখনই দেখি হয় টীকটিপ্পনীতে, না হয় চিঠিতে আর কখনো কপনে প্রবন্ধের তালিকায়ও ভারতীয় লেখকদের নাম ; কিন্তু চীনাদের এই অবস্থা কবে হবে এখনো বুঝতে পারছি না ।” চীন সভ্যতায় প্রবেশ সমালোচক উপসংহারে বলিতেছেন,—“যতদিন তাদের না বুঝছি বা তাদের সভ্যতার ভিতর না প্রবেশ করছি ততদিন বিচার করতে না যা ওয়াই উচিত ।” উপদেশটা ভাল, কিন্তু আলোচনা-সাপেক্ষ । কেননা জ্ঞান-বিজ্ঞানের রাজ্যে “বিনয়া" হওয়া অত্যাবশ্যক সন্দেহ নাই । কিন্তু “বিনয়ের অবতার’ হইতে চেষ্টা করা আহাম্মুকি । একটা লোকের বৎসর দেড়েক ব্যাপী স্থানীয় অনুসন্ধান-গবেষণার ভিতর রেলের খবর, রাজস্বের খবর, ইস্কুল-কলেজের খবর, কুটার শিল্পফ্যাক্টারী-কারখানার খবর, আইন-কানুনের খবর, কাব্যনাট্যের খবর, মঠ মন্দিরের খবর, পারিবারিক সংস্কার-কুসংস্কারের খবর ইত্যাদি নানা খবর অল্পবিস্তর স্থান পাইল । এষ্ট খবরগুলা জুটিল নরনারীর সঙ্গে সহরে পল্লীতে গা-ধেশার্ধেশি করিবার ফলে । এই খবরগুলার কোনোটা জোগাইল একেলে পণ্ডিত, কোনোটা জোগাইল সেকেলে পণ্ডিত । কোনো কোনো