বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তনסס খবর আসিল বুড়া জননায়কদের ঘাটি হইতে, কোনো কোনো খবর আসিল তরুণ জীবনের নানা মহল হইতে । আর তাহার উপর চেষ্টা চলিতে থাকিল প্রতিদিন বহুঘণ্টা ধরিয়া সরকারী-বেসরকারী লাইব্রেরিতে বিদেশী ভাষায় লিখিত গ্রন্থাবলীর সঙ্গে পরিচয় লাভ । অধিকন্তু প্রত্যেক কথাবার্তায় দোভাষীর সাহায্য ত আছেই । জানা নাই কেবল ভাষাটা আর সময়ের পরিমাণ মাত্র বৎসর দেড়েক । এই অবস্থায় যে একটা সভ্যতায় প্রবেশ লাভের চেষ্টা করা হয় নাই তাহ স্বীকার করা হয়ত কোনো “বিনয়ের অবতারের” পক্ষে সম্ভব। আবার কোনও "বিনয়ের অবতার’ হয়ত বলিবে যে, এই অবস্থায় সভ্যতাটা বিচার করিতে না যাওয়াই উচিত । কিন্তু “সাধারণ বিনয়ী” লোকের বাণী হইবে অন্তরূপ। সে বলিবে,—“যতটুকু তথ্য পাইয়াছ সেই তথ্যগুলার উপর টীকা টিপ্পনী চালাইবার একতিয়ার অর্থাৎ জীবনটা বিচার করিবার অধিকার তোমার আছেই আছে। অন্যান্য তথ্য পাইবা মাত্র হয়ত তোমার ব্যাখ্যা, তোমার বিচার, তোমার দর্শন বদলানো আবগুক হইবে। তাহার জন্ত তুমি সৰ্ব্বদা প্রস্তুত থাকিও। আর যে যে তথ্য তুমি পাইয়াছ তাহ একদম নিতুল এরূপ বিবেচনা করিয়া বসিয়া থাকাও সুবিবেচকের কায্য নয় । ভুলচুকগুলা হামেষা শুধরাইবার জন্য চেষ্টা করা অত্যাবশ্যক। কিন্তু শেষ পর্য্যন্ত তোমার মতামত, তোমার ব্যাখ্যা, তোমার বিচার সকলেই মানিয়া লইবে কিনা সন্দেহ । কেন না জীবনের বিশ্লেষণ, সভ্যতার বিচার ইত্যাদি বস্তু একমাত্র বা প্রধানতঃ ভাষাজ্ঞানের উপর নির্ভর করে না–নির্ভর করে দর্শন, সমাজতত্ত্ব, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ইত্যাদি বিদ্যার রাজ্যে কার কিরূপ মতিগতি তাহার উপর।”