বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা \లిలి: এই বিভাগের নৃতত্ত্ববিদগণকে লোকাচারতত্ত্ববিৎ বলা চলে। ধৰ্ম্ম, শিল্প, ধন-দৌলত, রাষ্ট্র, সমাজ ইত্যাদি বিষয়ে তুলনা-মূলক বিজ্ঞানগুলা সবই এই সামাজিক নৃতত্ত্ববিদ্যার সামিল । এক কথায় বলা যাইতে পারে যে, “ইতিহাস” নামে যা-কিছু সাহিত্য রচিত হইয়া থাকে সবই নৃতত্ত্ব । কিন্তু পারিভাষিক হিসাবে এইখানে আর-একটা প্রভেদ চলিয়া আসিতেছে । অতি সাবেক কাল, মান্ধতার আমল, প্রাগৈতিহাসিক যুগ ইত্যাদি সময়কার মানব-কথা অর্থাৎ মানবসভ্যতার গোড়াটা লইয়া যাহারা অনুসন্ধান চালাইতেছেন একমাত্র তাহাদিগকেই নৃতত্বের গবেষক বলা হয় । অধিকন্তু বৰ্ত্তমান জগতের বিভিন্ন জনপদে যে সকল “ আদিম” অনুন্নত, অসভ্য জাতি “সভ্যতার শৈশলাবস্থায়" জীবিত রহিয়াছে তাহদের আচার ব্যবহার এবং স্বধৰ্ম্মের সকল প্রকার অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান যে সকল অনুসন্ধানকারীর মনোযোগ আকর্ষণ করে তাহারাও নৃতত্ত্ববিদরূপে পরিচিত। এই হিসাবে পৰ্য্যটক, ভৌগোলিক আবিষ্কারক ইত্যাদি শ্রেণীর লোক নৃতরের সংসারে নাম করিয়া থাকেন। মগ্যানের সিদ্ধাত্ত মর্গ্যান লোকটা কে ? চল্লিশ বৎসর ধরিয়া এই লেখক আমেরিকার ইণ্ডিয়ান সমাজে তথ। অসুসন্ধানে ব্যাপৃত ছিলেন । ক রোকে আদের কুটুম্ব-সম্বন্ধ বা আত্মীয়তার প্রথা সম্বন্ধে ইনি ১৮৭১ সালে যে-সকল তথ্য প্রকাশ করেন তাহার ফলে গোটা লোক চারতত্ত্ব, বিবাহ-পদ্ধতি এবং _* সামাজিক নৃতত্ত্বে এক নবযুগ সুরু হয়। ই হার সর্বপ্রসিদ্ধ গ্রন্থের নাম