পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OObr. নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন নিজস্ব বা ব্যক্তিগত সম্পত্তির উৎপত্তি গ্রন্থে মুখ্য কথা নয় বটে, কিন্তু এই বিষয়ই এঙ্গেলসের “প্রাণের কথা” । সেই প্রাণের কথাটা গ্রন্থের প্রত্যেক অধ্যায়ের যেখানে সেখানে পাঠকের কান স্পশ করে। বস্তুতঃ ধনদৌলতের আকার-প্রকার মানবজাতির শৈশব-কালে কখন, কেন ও কিরূপ ভাবে বদলাইয়াছে তাহার আলোচনা করাই এঙ্গেলসের উদ্দেশু। ছিল। আর্থিক ইতিহাসের কোন স্তরে ব্যক্তিগত ধন-দৌলতের স্বষ্টি হইয়াছে, সে কথা এই গ্রন্থে অতি উজ্জল অক্ষরে বিবৃত হইয়াছে । খাটি ধনবিজ্ঞান-বিদ্যা বলিলে যে সাহিত্য নজরে আসে, এই গ্রন্থকে সেই সাহিত্যের অন্তর্গত করা চলিবে না। এই রচনা নৃতত্ত্ববিদ্যার মহলেই ঠাই পাইবার যোগ্য । নৃতত্বের তথ্যগুলার উপরে আর্থিক ব্যাখ্যা চালাইলে যে-তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হইবার কথা এঙ্গেলস এখানে সেই তত্ত্বের প্রচারক । সমাজদর্শন, সভ্যতার ইতিহাস ইত্যাদি বস্তু প্রাচীন মানবের জীবনকথায় বা পুরাকাহিনীতে যতখানি পাওয়া যাইতে পারে, সেই দর্শন ও সেই ইতিহাসই বর্তমান কেতাবের দান । “নৃতত্ত্ব” বিদ্যা নৃতত্ত্ব দুই শাখায় বিভক্ত –শারীরিক ও সামাজিক। এক শাখায় পণ্ডিতেরা ভিন্ন ভিন্ন জাতির শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মাপিয়া-জুকিয়া তুলনা করিয়া মানুষের উৎপত্তি, শ্রেণী-বিভাগ ইত্যাদির আলোচনা করিয়া থাকেন । এই বিদ্যাকে কম্পারেটিভ অ্যানাটমির ( বা তুলনা-মূলক অস্থিবিদ্যার ) এবং জীববিজ্ঞানের জের বিবেচনা করা যাইতে পারে। অপর বিভাগের পণ্ডিতেরা জগতের ভিন্ন ভিন্ন দেশের নরনারীর আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম, লেন-দেন, স্মৃতিশাস্ত্র, নীতি-শাস্ত্র, মু-কু ইত্যাদি জীবনের সকল খুটিনাটি আলোচনা করেন। সহজে