বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বঙ্কিম, ভূদেব, চন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ ইত্যাদির প্রবন্ধাবলীতে সে যুগের দৌড় জরীপ করা চলিতে পারে। ভারতে যা-কিছু ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব ইত্যাদি সম্বন্ধে অনুসন্ধান প্রায় সবই মাত্র ১৯০৫ সালের সম সম কালে এবং পরে দেখা দিয়াছে । রাজেন্দ্রলাল, রমেশচন্দ্র ইত্যাদির ঐতিহাসিক গ্ৰন্থরাজি উনবিংশ শতাব্দীর ভারতে একটা ঐতিহাসিক আন্দোলন স্বষ্টি করিতে পারে নাই । অধিকন্তু বিগত বিশ বৎসর ধরিয়া যুবক-ভারত ধনবিজ্ঞান, রাষ্ট্র-বিজ্ঞান এবং সমাজ-বিজ্ঞান ইত্যাদি নানা বিদ্যার জন্যও সর্বোচ্চ শ্রেণীর ইয়োরামেরিকান গ্রন্থের সঙ্গে পরিচিত হইতেছে ! কিন্তু ধন-বিজ্ঞানের তরফ হইতে ভারতীয় মান্ধাতার যুগকে যাচাই করিবার দিকে অথবা মানব-সভ্যতার ক্রম-বিকাশ বুঝিবার দিকে কোনো চেষ্টা আজ পর্য্যন্ত বাঙ্গলাদেশের কুত্ৰাপি ত নাই-ই, ভারতের কোথাও দেখি না । বিষাক্ত “প্রশচ্যামি” ( S ) একদম নাই বলিলে ভুল হইবে । কেননা প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সম্বন্ধে ভারতীয় লেখকদের কয়েকখানা ইংরেজি কেতাব বাহির হইয়াছে। এই সকল গ্রন্থের যে যে অংশ প্রাচীন তথ্যগুলার খাটি বিবরণ মাত্র সেই সকল অংশ প্রত্নতত্ত্ব-হিসাবে অনেক ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় সন্দেহ নাই। কিন্তু যেখানেই বিদেশী—বিশেষতঃ ইয়োরামেরিকান তথ্যের সঙ্গে তুলনায় সমালোচনার ইঙ্গিত মাত্র আছে সেইখানেই গোড়ায় গলদ ধরা পড়ে । লেখকগণ প্রাচীন ভারতকে বিলকুল স্বষ্টিছাড় ভূখণ্ডৰূপে প্রচারিত