বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা Wogo করিবার জন্ত বিজ্ঞান-সাধনায় ব্ৰতী হইয়াছেন । অথবা বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলার সন-তারিখ, “জাতিভেদ”, স্তর-বিন্যাস বা যুগধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ক্ৰক্ষেপ না করিয়াই ই হারা ভারতীয় “স্বদেশী সমাজে”র স্বধৰ্ম্ম, বিশেষত্ব, স্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি আবিষ্কার করিয়া বসিয়াছেন । ফলতঃ যে-সকল অনুষ্ঠানপ্রতিষ্ঠান জুনিয়ার সকল জাতিরই “সামান্ত ধৰ্ম্ম” মাত্র সেইগুলাকেও অতি মাত্রায় ভারতাত্মার ও প্রাচ্য-জীবনের প্রতিমূৰ্ত্তিরূপে প্রচারিত করা হইতেছে। চিত্রকলা, স্থাপত্য, সাহিত্য, সঙ্গীত ইত্যাদি “রসে”র সমালোচনায়ও এই বিষাক্ত “প্রাচ্যামি”র জয়জয়-কার চলিতেছে । এইরূপ ভ্ৰমাত্মক আলোচনায় পথ দেখাইয়াছেন ইয়োরামেরিকার প্রাচ্যতত্ত্ববিৎ “ওরিয়েণ্ট্যালিষ্ট” পণ্ডিতগণ । তাহদের জুড়িদারস্বরূপ পাশ্চাত্য, বিজেতা-জাতীয়, সাম্রাজ্য-শাসক, “কলোনিয়ালিষ্ট” (উপনিবেশতন্ত্রী) রাষ্টি,কেরা ও সমাজ-বিজ্ঞানের বর্তমান দুরবস্থার জন্য দায়ী। এই ছই শ্রেণীর লোক প্রায় এক শ’ বৎসর ধরিয়া পূৰ্ব্বকে পশ্চিম হইতে ফারাক করিয়া রাখিবার জন্ত উঠিয়। পড়িয়া লাগিয়াছেন । দুনিয়ার শ্বেতাঙ্গ-প্রাধান্তের যুগে শ্বেতাঙ্গদিগকে “একঘরে” করিয়া রাখা শ্বেতাঙ্গ বিজ্ঞান-সেবীদের স্বাৰ্থ এবং স্বধৰ্ম্ম । পশ্চিমের চিত্তে আর পূৰ্ব্বের চিত্তে কোনো প্রকার মিল বা সাদৃশু আছে এ কথা স্বীকার করিলে পশ্চিমাদের ইজ্জং রক্ষা হয় না । পশ্চিমাদের এই ঘোরতর প্রাচ্য-বিদ্বেষই তথাকথিত “প্রাচ্যামি"র জনক । তুলনামূলক সমাজ-বিস্তার আলোচনায় ভুল কেন প্রবেশ করিয়াছে এবং এই বিজ্ঞানের সংস্কার কিরূপে সাধিত হইতে পারে, তাহার আলোচনা মৎপ্রণীত “ফিউচারিজম অব ইয়ং এশিয়া” বা “যুবক