পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)Qやり নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সামাজিক জীব-হিসাবে সু-কুর চিন্তা করিয়া থাকে । এক কথায় বলিতে পারি যে, মামুষের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় এবং আত্মিক জীবন তাহার ধনোৎ পাদন-প্রণালীর প্রভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় ।” ভাবার্থ —ভাত-কাপড়ের বিধি-ব্যবস্থা অথবা জীবনের আর্থিক ধাক্কা যাহারা আলোচনা করেন না, তাহারা কোনো জাতির দর্শন, ধৰ্ম্ম, মুকুমার শিল্প, সাহিত্য, রীতিনীতি, জাতিভেদ, দলাদলি, “জমিদারি-মহাজনি,” আচার-বিচার, আইন-আদালত, পুলিশ-পণ্টন ইত্যাদি কিছুই পুরাপুরি বুঝিতে অসমর্থ। ইহার নাম “ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা” অথবা *সভ্যতার বাস্তব ভিত্তি ।” লাফার্গের চিন্তায় আর একজন পণ্ডিত যুগাবতার বিশেষ । তাহার নাম মর্গ্যান। এই ইয়াঙ্কি নৃতত্ত্ববিদের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ “এনগুেণ্ট সোসাইটী” ( প্রাচীন সমাজ ) । উনবিংশ শতাব্দীর শেষপাদে নৃতত্ত্বসেবীরা, বিশেষতঃ ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যাকারেরা এই কেতাবের ইজ্জদ আর একখানা বেদ-বাইবেল-কোরাণের কোঠায় আনিয়া ঠেকাইতেন। মর্গ্যান-পূজা আজও কম-বেশী প্রায় সৰ্ব্বত্রই কিছু না কিছু চলিতেছে। লাফার্গ-উদ্ধত মর্গ্যানের এক স্বত্র বর্তমান কেতাবের মলাটেই খোদা দেখিতে পাই। মর্গ্যান বলিতেছেন – “ধনদৌলত বিষয়ক চিন্তাধারার ক্রমবিকাশ বেশ খুটিনাটির সহিত সমালোচনা করিতে অগ্রসর হইলে আমরা মানবজাতির আত্মিক ( মানসিক ) ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা আশ্চৰ্য্য জনক ঘরে আলোক ফেলিতে পারি।” ধন-বিজ্ঞান-বিদ্যার আলোচনায় মার্কস, যে সিদ্ধান্তে আসিয়া পৌঁছিয়াছেন, সেই সিদ্ধান্তেই মর্গ্যানও নৃতত্ত্ব-আলোচনার পথে স্বাধীনভাবে আসিয়া ঠেকিয়াছেন । মাক স-মর্গ্যানের সমাজ-দর্শন বর্তমান জগতের অন্ততম বিশেষত্ব । &