বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VLAb” নয়। বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বাদ পড়ে নাই ; রামেন্দ্রসুন্দরের মাথায় নানা প্রকার চিন্তাই কিলবিল করিত। র্তাহার কোনো কোনো “কথা"য় সমাজ-বিষয়ক আলোচনা বাহির হইয়াছে । তাহা ছাড়া রবীন্দ্র-সাহিত্যের এখানে-ওখানে সমাজ লইয়া নাড়-চাড়া করিবার যুক্তি খেলিয়াছে । খাটি সাহিত্যপদ-বাচ্য রচনা অর্থাৎ কাব্য-নাটক-উপন্যাস ইত্যাদির খতিয়ান করা হইতেছে না। দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক বা ঐতিহাসিক লেখার কথাই বলা হইতেছে ; যে চার জনের বাংলা লেখার উল্লেখ করা হইল এই ধরণের আরও বাঙালী লেখক ইংরেজিতে এবং বাংলায় সামাজিক জীবন লইয়া কিছু কিছু লিখিয়াছেন, সন্দেহ নাই। সকলের নাম উল্লেখ করা এখানে উদ্দেশু নয়। ভূদেব, বঙ্কিম, রামেন্দ্র৯ন্দর, রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি সকলের মাথায়ই জুনিয়ার সমস্ত বহিয়া গিয়াছে। রামমোহনের কাল হইতে আজ পর্য্যন্ত কোনো বাঙালীই গোটা জগতের উঠানামা, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের তুলনা-সাধন, বিশ্বসভ্যতার ভূত-ভবিষ্ণু-বর্তমান, এক কথায় মানবজাতির ক্রমবিকাশ ইতাদির ভাবনা ঘাড়ে না লইয়া তিষ্টিতে পারেন নাই। কিন্তু আশ্চর্য্যের কথা,—মামুষের পেটে যে ক্ষিধে পায়, এবং ক্ষিধে পাইলে যে কষ্ট হয় এই অতি সোজা কথাটা তাহদের কাহারও মগজে প্রবেশ করে নাই ! মধুচ্ছন্দার আগুনের গাথায়ও যে ভাতকাপড়ের ধাক্কা আছে, এই ধারণা কোনো বাঙালী দার্শনিকের প্রচারিত জীবন-সমালোচনায় বা বিশ্বসমালোচনায় আজ পয্যন্ত দেখিতে পাইতেছি না। এঙ্গেলস-লাফার্গের তথ্য ও ব্যাখ্যাগুলা যুবক ভারতের গবেষক, লেখক ও স্বদেশসেবকগণের চোখে আঙ্গুল দিয়া তাহাদের একটা মস্ত অসম্পূর্ণতার মুলুক দেখাইয় দিবে।