পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\©\&ye নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ( २ ) মামুষের জীবনটাকে বুঝিবার প্রয়াস যেখানে নাই সেখানে ইতিহাস নাই ! জীবনটাকে বুঝায় আর জীবন সম্বন্ধে কতকগুল তথ্য আবিষ্কার করায় আকাশ-পাতাল প্রভেদ । ভারতবাসীর জীবনটাকে ধারাবাহিকরূপে “বুঝিবার” অর্থাৎ ব্যাখ্যা করিবার ও সমালোচনা করিবার প্রয়াস কোনো লেখকই করেন নাই । এদিকে যেটুকু প্রয়াস হইয়াছে তাহা ধর্তব্যের মধ্যেই গণ্য নয় । কতকগুলা হাড়মাস, শিরানাড়ী ও পেশারক্তের জবরজঙ একত্র করিতে পারিলেক্ট একটা জ্যাস্ত জানোয়ার বা মানুষ খাড়া করিয়া তোলা যায় না । “আনাটমি"তে ( অস্থিবিদ্যায় ) চাই “ফিজিঅ'লজির” ( শরীরবিদ্যার ) দম্ভল । তাছা হইলেই মরা-হাড়ে ভেস্কি খেলিতে পারে, অর্থাৎ রক্তমাংসের জীবজন্তু পায়দা হয় । প্রত্নতত্ত্বকে ইতিহাসে পরিণত্ব করিতে হইলে এই ধরণেরই দম্ভল দরকার। কাঠখোট্ট পাণ্ডিত্য ছাড়া প্রত্নতত্ত্ব জন্মিতেই পারে না । কিন্তু একমাত্র এই ধরণের পণ্ডিত্যের জোরে ইতিহাস স্বষ্টি করা অসম্ভব । তাহার জন্ত চাই চিত্ত-বিজ্ঞানে আধিপত্য, তাহার জন্য চাই বিশ্বশক্তিগুলা লইয়া নাড়াচাড়া করিবার ক্ষমতা, তাহার জন্য চাই হিংসাধৰ্ম্মী, বিজিগীযু শক্তিধর মানবের সনাতন অধ্যবসায়ের গতিবিধি দেখিয়া তাহার সঙ্গেসঙ্গে নাচিবার-লাফাইবার উন্মাদনা । অর্থাৎ মেজাজ যাহার তাতিয়া উঠে না, মাথাট। যাহার টগবগ করিয়া ফুটিতে শিখে নাই সে ব্যক্তি রক্তমাংসের মানুষের প্রাণস্পন্দনের সম্মুখে “রাগদ্বেষ-বহিস্কৃত” এবং নিৰ্ব্বিকার থাকিতে বাধ্য। অর্থাৎ ইতিহাস রচনা তাহার কোষ্ঠীতে লেখে নাই ,