পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WうWし8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সভ্যতার সঙ্গে মানবের আর্থিক অবস্থার যোগাযোগ আলোচনা করিবার সাধ্য ভারতে এখনো গজায় নষ্ট । এত বড় বিশ্বজোড়া চিন্তায় মাথা খেলানো কঠিন ত বটেই। এমন কি ভারতের প্রাচীন এবং মধ্যযুগে যে সকল সমাজ-ব্যবস্থা, দর্শন-বেদান্ত, শিল্পকৰ্ম্ম, রীতিনীতি, “হঁচিটিকটিকি,” গজিয়াছে মরিয়াছে, সেই গুলার সঙ্গে খাওয়াপরার কথাটা কতখানি জড়িত তাহ বুঝিবার দিকে ভারতীয় সাহিত্যের বোক নাই । এঙ্গেলস লাফার্গের রচনায় ধনদৌলতের “বিশ্বরূপ” বুঝিবার পক্ষে বাঙালীর সুযোগ জুটিবে । অধিকন্তু, কিরূপে আর্থিক খোলস বদলাইতে বদলাইতে “ভারতাত্মা" যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন মূৰ্ত্তি গ্রহণ করিয়াছে সেই বিষয়ে খোজ চালাইবার জন্যও অনেকের খেয়াল জাগবে । বৰ্ত্তমান জগতের কৰ্ম্মকাণ্ড ও চিন্তা-ধারা ( > ) “ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা" বৰ্ত্তমান জগতের নবীনতম সমাজচিন্তার অন্ততম বিশেষত্ব । সত্তর আশী বংসর পূৰ্ব্বের ইয়োরামেরিকান দার্শনিকের এই প্রণালীতে মানব-জীবন বিশ্লেষণ করিতে অভ্যস্ত ছিলেন না , কিন্তু দেখতে দেখিতে এই দশন ধারপর নাই প্রভাবশালী হইয়া উঠিয়াছে। বিগত দশ বৎসর ধরিয়া বিদেশের শহরে, মফঃস্বলে, হাটে, বাজারে, বড় সড়কে, গলি-ধোচে এই দর্শনের প্রভাব স্পর্শ করিয়া আসিতেছি । কাজেই “বর্তমান জগৎ” গ্রন্থের বিভিন্ন বিভাগে ইহার ছায়া পড়িয়াছে । ইংলণ্ড, আমেরিকা, ফ্রান্স, জাৰ্ম্মাণি, সুইটসার্ল্যাণ্ড, ইতালি, জাপান এবং এমন কি চীন বিষয়ক ভ্রমণ-গ্রন্থগুলায় দুনিয়ার এই নবীন আবহাওয়া তাহার শক্তি প্রকাশ করিযাছে । “দুনিয়ার আবহাওয়া” নামক গ্রন্থেও