বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা \○や○。 তাহার সবিশেষ প্রভাব দেখিতে পাওয়া যাইবে । কি পাঠশালায়, কি কৰ্ম্মশালায়, কি পণ্ডিতের বৈঠকে, কি মজুরদের মজলিশে কোথাও এই চিন্তার আওতা এড়াইতে পারি নাই । ১৯১৮-১৯ সালের রাষ্ট্রবিপ্লবে জাৰ্ম্মাণি গণতন্ত্রের স্বরাজে পরিণত হইয়াছে । সেদিন হইতে আজ পর্য্যন্ত পাচ ছয় বৎসর ধরিয়া যে “সোৎসিয়াল-ডেমোক্রাটিশ” দল জাৰ্ম্মাণ মুল্লুক শাসন করিতেছে, সেই দলের বেদান্তই এই সমাজ-চিন্তার গোড়ার কথা । বিশ বৎসর ধবস্তাধবস্তি করিবার পর বিলাতে মজুরপন্থী রাষ্ট্রবীরেরা বৃটিশ সাম্রাজ্যের রাজা হইয়া বসিয়াছে ( ১৯২৪ ) । এই সকল লোকেরাও শয়নে-স্বপনে এই দর্শনেরই সেবা করিতে অভ্যস্ত । ফ্রান্সে আজকাল পো আকারে রাজত্ব করিতেছেন বটে। কিন্তু র্তাহাকে রাস্তায়, ঘাটে, সভায়, কাগজে প্রতিদিন যে সকল লোক নাস্তানাবুদ করিয়া ছাড়িভে ছে, তাহদের চিস্তার খোরাক জোগায় এই সমাজদশন মুসলিনি ইতালিতে “ফাশিষ্ট” ধৰ্ম্মের দিগবিজয় চালাইতেছেন। কিন্তু তাংলি কৰ্ম্মপ্রণালীর প্রধান এবং একমাত্র মুগুরই হইতেছে এই দর্শনের সেবক উত্তর ইতালির সোশালিষ্ট দল । তাহা ছাড়া সোহিবয়েট রুশিয়ার মজুর-সম্রাটেরা ত এক হাতে কাল - মার্ক স্ এবং অপর হাতে বোমা লইয়া দুনিয়ায় সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও স্বাধীনতার যুগান্তর ঘটাইতে প্রয়াসা । এই চিস্তার আওতা হইতে আত্মরক্ষণ করা ইয়াঙ্কিস্থান এবং জাপানের শাসনকৰ্ত্তাদের পক্ষেও এখন আর সম্ভব নয় R ) রাষ্ট্রনীতির মুল্লুকই এই চিন্তাপ্রণালীর একমাত্র ল্যাবরেটরি নয়। ইয়োরামেরিকার সাহিত্য-সমাল্লোচনায়, মুকুমার শিল্পের গবেষণায়,