এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৬৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ভারতীয় গৃহস্থের নিত্য সহচর। তথাকথিত মস্তিষ্কজীবী “ভদ্রলোক” এখন আর "পেটে ক্ষিধে, মুখে লাজ" নীতি অনুসরণ করে না। “হরতালের” আবহাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাবুরা মজুর-কিষাণদের সঙ্গেই হামদদি করিতে অভ্যস্ত হইতেছে । অন্নচিন্তার অগ্নিতাপে সামাজিক শ্রেণী গুলার ভিতর উঠানাম সাধিত হইতেছে সজোরে। সে সব চোখের সম্মুখেই দেখিতে পাটতেছি । এই আবহাওয়ায়,—দর্শনের উপর বাস্তবের প্রভাব যে-কোনো ব্যক্তির পক্ষেই মন-মাফিক কথা বিবেচিত হইবে । মার্কস-মর্গ্যানের সমাজ-চিন্তা এঙ্গেলস-লাফার্গের ব্যাখ্যার সাহায্যে যুবক ভারতেও নবীন দুনিয়ার উপযোগী নবীন দর্শন গঙ্গাইয়া তুলিবে। লুগানো, সুইট্সার্ল্যাণ্ড এপ্রিল, ১৯২৪ ।