বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψίrty" নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পত্রিকায় ছাপাছাপি লইয়া আবার মাথা ফাটাফাটি ! কেন না, ষে জিনিষটা কোনো বড় কাগজে ছাপা হইয়া যায় তাহার ইজ্জৎ তৎক্ষণাৎ বিজ্ঞান-জগতে খুব বেশী, অন্ততঃ পণ্ডিত মহলে লোকজনের ধারণা এইরূপ লক্ষ্য করিয়ছি যে, এই ঠজং ভারতসন্তানকে বড় শীঘ্র ইয়োরমেরিকান পণ্ডিতেরা দিতে প্রস্তুত নয় । যে যুগের অভিজ্ঞতা বর্তমান লেখকের জীবন-কথা, সেই যুগে নানান দেশের নানান ঘাটিতে ভারত-বিদ্বেষ ঘনীভূত দেখিয়াছি। কোনো একটা “দৈনিক”কাগজ,—বিশেষত: “সোপ্তালিষ্ট’ পরিচালিত দৈনিকে— “রাষ্ট্রনীতি’-ঘে শী লেখা হয়ত বা অল্প মেহনতেই ছাপা হইতে পারে। কিন্তু “বুজোআ’-মহলে “বৈজ্ঞানিক” পত্রিকায়, “দার্শনিক" আখড়ায় ভারতীয় মগজের রচনা ছাপার হরপে খোদা থাকিবে, ইহা একপ্রকার আকাশ-কুসুম বিশেষ । ঘটনাচক্রে এই অধমকে পত্রিকা-গত লেখালেখির দুনিয়ায়ও বেশ একটু লড়িতে হইয়াছে। বড় বড় ঠাইয়ের এখানে-ওখানে, ফ্রান্সে, জাৰ্ম্মাণিতে, আমেরিকায়, ভারতীয় কলমের অ্যাচড় রাখিয়া আসা পৰ্য্যটনকাণ্ডের একটা লক্ষ্য ছিল । সঙ্গে সঙ্গে অদ্যান্ত ভারতসন্তানকে এইরূপ অ চড মারিবার সাহসে উৎসাহিত করিবার জন্ত প্রবাসের সময় ত চেষ্টা করিয়াছিই, আর আজও করিতেছি । হয়ত বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই ধরণের উৎসাহ-প্রদানের ফল কিছু কিছু ফলিয়াছেও । ( & ) ইয়ে রামেরিকার প্রসিদ্ধ পত্রিকায় লেখালেখি করা যত কঠিন, সেখানকার প্রকাশকদের দ্বারা নিজ নিজ বই প্রচার করানো তত কঠিন নয়। “হাতে কলমে” দুই প্রকার অভিজ্ঞতাই আছে । এই জন্থ প্রভেদটা পাকড়াও করিতে পারা গিয়াছে ।