পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రిమా రి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পৰ্য্যটন-সাহিত্যও প্রচুর । রকমারি উদ্দেশ্য লইয়া জগতের নরনারী একালে দুনিয়ায় টোটাে করিয়া থাকে। আর এই ভবঘুর্যে-বিবরণী হইতে নানান জাতি নানা প্রকাব রসকস নিংড়াইয়া লইতে অভ্যস্ত। এই কারণে “বর্তমান জগৎ’-গ্ৰস্তাবলীর শেষ ভূমিকায় এই তিন জন শ্রেষ্ঠ লেখকের যৎকিঞ্চিৎ পরিচয় দিতেছি । “লৰ্ড” আর লাট হইবার বহুপূৰ্ব্বে ইংরেজ যুবা নাথানিয়েল কার্জন গোটা এশিয়াকে নখদর্পণে রাখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন । তাহাব ভ্রমণকাহিনীসমূহ একাধিক গ্রন্থে বাহির হইয়াছে। “রাশিয়া ইন সেন্টাল এশিয়া” গ্রন্থে ( ১৮৯৫ ) মধ্য এশিয়ার খুটিনাটি বিবৃত আছে। পারতের আলিগলি ইংরেজ সমাজে সুপরিচিত করিবার জন্য তিনি “পাশিয়া অ্যাও দি পাশিয়ান কোয়েস্চান” রচনা করিয়ছিলেন । তাহার “প্রবলেমস অব দি ফার ইষ্ট’গ্ৰন্থ ( ১৮৯৪ ) জাপান, চীন, ও কোড়ীয়াকে বিলাতের নরনারীর নিকট খুলিয়া ধরিয়াছে । ১৮৮৪-৯৪ সনের ভ্রমণঅভিজ্ঞতা তাহার নব প্রকাশিত আফগানিস্থান-বিষয়ক গ্রন্থেও প্রতিষ্ঠিত । এশিয়া-সম্বন্ধে বিশেযজ্ঞ লোক—এশিয়ান বা ইয়োরামেরিকান – কাজনের সমান খুব অল্পই ছিল কিন্তু তাহার গ্রন্থগুলাকে খাটি ভ্রমণ-সাহিত্যরূপে বিবৃত করা চলিবে না। ভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলা লইয়া পরবর্তীকালে কয়েক বৎসর খাটিয়া আধা-ঐতিহাসিক আধাভৌগোলিক সাহিত্য স্বষ্টি করা তাহার বিশেষত্ব । এই হিসাবে “বর্তমান জগৎ'-গ্ৰন্থাবলীব রোজনামচা বা ডায়েরি-রতি কাজনের লিখনপ্রণালী হইঃে আগাগোড়। স্বতন্ত্র , এই সাহিত্যে ‘রোজ আনা রোজ খাওয়া" প্রথা কায়েম করা হইয়াছে। প্রায় কোথাও একদিনকার বাসি মালও রাখা হইয়াছে কিন। সন্দেহ । শৃঙ্খলাবদ্ধ ইতিহাস বা ঐতিহাসিক ধারার বৃত্তান্ত প্রকাশ করা “বর্তমান জগৎ’বইগুলার মতলব নয়।