পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*বর্তমান জগৎ"-রচনার আবহাওয়া \లిఏ> অধিকন্তু ইংরেজ যুবা ছিলেন সাহিত্যের আগসরে প্রধানতঃ বা একমাত্র রাষ্টনীতির বেপারী। “বৰ্ত্তমান জগৎ" রাষ্ট্রনীতি ছাড়া মন্তান্ত ঘাটেও ডিঙ লাগাইয়া পানি চাথিয়া দেখিতে সচেষ্ট । লর্ড কাজ নের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইয়া বাঙলার নরনারী ১৯০৫ সনে যুবক ভারতের জন্ম দিয়াছে । কাজেই হয়ত যুবক ভারত কাজ ন-সাহিত্যকে সুনজরে দেখিতে চাহে কিনা সন্দেহ। কিন্তু ইংরেজদের স্বদেশ-সেবক হিসাবে কাজনের কৰ্ত্তব্যজ্ঞান আর স্বজাতিপ্রিয়তা যুবক ভারতকে ও স্বদেশসেবার আর স্বরাজ-সাধনার নয়া নয়। পথ দেখাইয়া দিতে সমর্থ । অপর পক্ষে কাজনের মাথার জোর, পণ্ডিত্য, বিদ্যাকুরাগ ও বিজ্ঞান-গবেষণা অতি উচ্চাঙ্গের বস্তু । অধিকন্তু লিখিয়েপড়িয়ে লোক হিসাবে কাজ ন যতখানি পরিশ্রম স্বীকার করিয়াছেন, তাহ। দেখিলে যুবক ভারতও পরিশ্রমী অার কৰ্ম্মযোগী হইতে শিখিবে বলিয়া বিশ্বাস করা চলে । কাজনের ভ্রমণ-সাহিত্য প্রচুর পরিমাণে আত্মবিশ্বাস, আত্মনিষ্ঠ, ব্যক্তিত্বের ‘অহঙ্কার’ ইত্যাদি সদ গুণের প্রতিমূৰ্ত্তি । সহজেই লোকেরা সাধারণতঃ এই সদগুণকে “আত্মম্ভরিত্ব” বা অহঙ্কারের অসদর্থে মহাদেষরূপে ধরিয়া লইতে হয়ত প্রলুব্ধ হইবে । কিন্তু মার্কিণ কবি ওয়ান্ট হিবট ম্যান প্রণীত “লীভস্ অব গ্রাস" ( তৃণ-পত্ৰ ) নামক কাব্য-গদ্যে বা গদ্য-কাব্যে যে ধরণের “আমি, আমি, অহং, অহং” এর ধূম্ৰা দেখিতে পাই, কাজন-সাহিত্যের “অহঙ্কার”ও অনেকটা যেন সেই ধরণের চীজ । এই চীজ ভারতীয় সহিত্যে ও অজানা নয় । সেই ঋগ বেদ-অথর্ববেদের আমলে ও জুনিয়াকে লক্ষ্য করিয়া “পুরুষ’ বলিতেছেন ঃ— “অহমৰ্ম্মি সহমান উত্তরে নাম ভূম্যাম । অভাবাড়শ্মি বিশ্বাষাড় আশামশাং বিশাষহি ।”