বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8o 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ঠাই। না হয় তুমি কিছু বেশীই বা জান, তাই বলিয়া অপরকে কি তুচ্ছ করিতে আছে ? ছিঃ ” ইত্যাদি। কিন্তু অহঙ্কারী লোকের চিত্ত বিশ্লেষণ করা বর্তমান লেখকের মতলব নয়। অথবা দেশের নরনারীকে “রাগদ্বেষ-“শুন্ত “সত্যযুগের” দেবদেবীতে পরিণত করিবার যন্ত্রপাতি লইয়া ঘাটা-ঘাটি করাও র্তাহার ব্যবসা নয় । যাহারা স্থনীতি-কুনীতির চর্চা করিয়া থাকেন তাহারা বর্তমান ক্ষেত্রে তাহদের যাহা ইচ্ছা তাহা করিতে পারেন । যদি লাভ হয়, ভালই । তবে ভারতীয় বিদেশ-ফেৰ্ত্তাদের ভিতর দেমার্কী লোক আছেন,— এই তথ্যটা একমাত্র “নীতি”, “ধৰ্ম্ম", "চরিত্রবত্তা’ ইত্যাদির মামলা নয় । বিদেশের সঙ্গে ভারতবর্যের লেন-দেন একটা অতি-বড় কাও । এই কাও ক্রমশই আরও বড় হইয়া চলিবে । কাজেই, বিদেশফের্তাদের সঙ্গে অন্তান্ত ভারতবাসীর যোগাযোগ একটা মস্ত প্রশ্ন । গোটা সমাজকে বা দেশকে এই সমস্তাটা এক বিস্তৃততর ও গভীরতর ক্ষেত্র হইতে সম্ঝিয়। দেখিতে হইবে । এই হিসাবে “নীতি,” “ধৰ্ম্ম”, “বেদান্ত”, “হিতোপদেশ” ইত্যাদির ধান্ধা ছাড়িয়া দিলেও বিদেশফের্তাদের লইয়া সকল ভারতবাসীরই কিছু কিছু মাথা ঘামানো আবখ্যক । ( 8 ) “সেকালে” বিলাত-ফের্তারাই ভারতের একমাত্র বা প্রধান বিদেশ • ফের্তা , ছিলেন। আজকাল ইয়োরামেরিকার সকল দেশ,—বস্তুতঃ দুনিয়ার প্রায় সকল দেশই ভারতীয় বিদেশ-ফেৰ্ত্তাদের কিছু কিছু করিয়া কব জায় আসিয়াছে। আগেকার দিনে প্রধানতঃ ছাত্রেরাই ছিলেন বিদেশ-ফের্তা ।