বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ebr নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বা এমন কি তিন বৎসরেও একটা বিদেশী ভাষায় “পণ্ডিত” হইতে অসমর্থ। বিদেশী কাগজপত্র এবং কেতাব ঘাটিবার ক্ষমতা জন্মে সন্দেহ নাই । বিদেশী চিঠি পড়িয়া বুঝিবার ক্ষমতাও দেখা দেয়। কিন্তু বিদেশী ভাষায় চিঠি লেখা অথবা প্রবন্ধ রচনা করিতে অগ্রসর হওয়া “পাপের ভোগ” বিবেচিত হইতে বাধ্য ! কথাগুলা সাধরণ ভাবে বলা হইতেছে। ব্যতিরেক আছে সন্দেহ নাই, তবে প্রত্যেক ব্যতিরেকেরই কোনো না কোনো “বিশেষ’ কারণ দেখানোও সম্ভব । এখন জিজ্ঞাস্ত এই,—যে সকল ভারত-সন্তান স্বদেশে বসিয়াই ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ বা ইতালিয়ান এবং রুশ বা জাপানী পড়িতেছেন তাহারা বিদেশফের্তাদের চেয়ে “ভাষার অভিজ্ঞতা” হিসাবে কম কিসে ? তাহারাও বিদেশী ভাষার কাগজপত্র এবং কেতাব ঘটিবার ক্ষমতা রাখেন। বিদেশী ভাষার চিঠি পড়িবার ক্ষমতাও তাহাদের জন্মে। দরকার হইলে দুই চার দশ লাইন ফরাসী বা জাৰ্ম্মাণ লিখিতে যে র্তাহারা অসমর্থ এরূপ বুঝিবার কোনো কারণ দেখি না। অবশু “কথা বলিবার” অভ্যাস তাহাদের নাই। কিন্তু ভারতে বসিয়া বিদেশী ভাষায় কথা বলিবার দরকারই বা পড়ে কখন ? কাজেই ভাষা লইয়া বড়াই করা বিদেশ-ফেৰ্ত্তাদের আর এক আহাম্মুকি। আর, সমাজের তরফ হইতেও বিদেশ-ফের্তাদিগকে লইয়া নাচ-নাচি করা অবিবেচকের কার্য্য। দেশের নর-নারী এই কথাট। বুঝিলে বিদেশ-ফের্তারা আপনা আপনিই "চিট’ হইয়া আসিবেন । (s) বিদেশী নরনারীরা ভারতে কয়েক মাস বা কয়েক বৎসর কাটাইয়া স্বদেশে ফিরিবার পর ভারত সম্বন্ধে বক্ততা করেন অথবা কেতাব লিখেন ।