বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার 8Oථ র্তাহীদের কাহার ও কাহার ও সঙ্গে দৈবক্রমে কোনো কোনো ভারত-সন্তানের মৌখিক আলাপ ঘটে না এমন নয়। কিন্তু সেই সকল ক্ষেত্রে আমরা একেবারে দিক্‌বিদিক-জ্ঞানশূন্ত হইয়া পাড় । তাহদের পা চাটিতে লাগিয়া যাই । অনেক সময়ে —আমাদের প্রসিদ্ধ জননায়কেরাও নিজ নিজ ব্যক্তিত্ব রক্ষা করিয়া বিদেশীর সঙ্গে সমানে সমানে লেন-দেন চালাইতে পারেন না । অতিমাত্রায় খোসামোদ, অতি-প্রশংসা ইত্যাদির দেীরাত্ম্যে ভারতীয় নরনারা বিদেশীদের চোখে যারপর-নাই ঘৃণ্য জীবে পরিণত হয় । যে সকল বেপারী ও মোসাফির কিছু বেশী দিনের জন্য কোনো সহরে সময় কাটাইতে বাধ্য হন তাহারা বিদেশী লোকজনের ভিতর বন্ধু জুটাইতে পারেন কি ? বল! কঠিন । আমাদের অধিকাংশ লোকই “রাহা খরচ" মাত্র সম্বল কবিয়া বিদেশে আসিতে বাধ্য । কোনো মতে হোটেলের খরচ চালাইয়া দিনাতিপাত করিতে পারিলেই আমাদের জীবন সার্থক ! বিদেশীদের সঙ্গে মাথামাথি করিতে হইলে পয়সা খরচ হয় । কোনো পরিবারে যদি কোনো ভারতীয় অতিথি নিমন্ত্রিত হন তাহাতে পরিবারের খরচ বেশী কিছু নয় । দশ জন খাইতেছে,—তাহার সঙ্গে আর একজন খাইলে হিসাব বাড়িয়া যায় না । কিন্তু কোনো ভারত-সন্তান যদি জুই একজন বিদেশী-বিদেশিনীকে নিমন্ত্ৰণ করিতে চাহেন তাহা হইলে খরচ বড় কম নয় । “ভদ্রলোকেরা" যে সকল হোটেলে বা রেষ্টরাণ্টে খায় সেই সকল জায়গা ছাড়া অন্য কোথায়ও নিমন্ত্রণ করা চলে না। কিন্তু এই সকল মহলে একবার পাচ সাত জনের নৈশ ভোজন দিতে হইলে ভারতসন্তানের এক মাসের খরচ পুরাপুরি উজাড় হষ্টয়া যাইবার সম্ভাবনা । কাজেই, বিদেশীদের সঙ্গে ভারতসন্তানের “এলে গেলে কুটুম্বু" নীতি বজায়