বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8X8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন রাখা অসম্ভব । ফলতঃ, বিদেশ সম্বন্ধে ভারতীয় বিদেশ-ফেৰ্ত্তাদের অভিজ্ঞতাও যারপর-নাই অগভীর । ( ; 8 ) ছাত্র-ছাত্রীরা বিদেশী সমাজে কতদূর প্রবেশ করিতে পারেন ? তাহারা প্রধানত: দুষ্ট বা তিন বৎসর বিদেশে থাকেন। প্রত্যেকের মাসিক বৃত্তি গড়পরতা দেড় শ, দুই শ’ বা আড়াই শ’ টাকা । যাহার *গবেষক” বা অধ্যাপক তাহদের অবস্থাও এইরূপ । এই টাকায় স্কুল-কলেজের বেতন দিয়া বাকী থাকে অতি সামান্ত । তাহার সাহায্যেই খাওয়া-পরা চলাইতে হয় । এই থোরপোষ অতি নিম্নদরের হইতে বাধ্য। যে সকল “বোডিং হাউসে” “ডমিটরি"তে বা ছাত্রাবাসে দরিদ্রতম লোকের সস্তানেরা থাকে আমরা তাহার উপরে উঠিতে পারি না। যে সকল রেষ্টর্যাণ্টে বা ভোজনালয়ে গাড়োয়ান এবং কুলীশ্রেণীর লোক থানাপনা করে আমাদের দৌড় তাহার डे क्लुङ नग्न । বৎসরে একবারের বেশী ভাল একটা থিয়েটার দেখা বোধ হয় অধিকাংশ ভারতীয় ছাত্রের পক্ষে সম্ভবপর হয় না । কনসাটে বসিয়া উচ্চতর সঙ্গীত শুনিবার সাধ হয়ত আমাদের অনেকেরই কিছু কিছু জাগে, কিন্তু “উথায় হৃদি লীয়ন্তে দরিদ্রাণাং মনোরথাঃ ।” অর্থাৎ বেপারীরা এবং মোসাফিরেরা বিদেশী সমাজ সম্বন্ধে যতখানি বুঝিবার স্বঝিবার সুযোগ পান ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মুযোগ তাহার চেয়ে অনেকটা কম। “বাড়ীওয়ালীর বেটী বা ঝি চাকরাণী” আর বাড়ীওয়ালীর “মাস্তত বোন” এবং ঐ ধরণের অন্তান্ত পাড়া-পড়লী ছাড়া আমাদের ছাত্রেরা বিদেশে অন্ত কোনো শ্রেণীর লোকের সংস্রবে সাধারণতঃ আসিতে পান না । বিদেশ, বিদেশী সমাজ, পাশ্চাত্য আদর্শ ইত্যাদি সম্বন্ধে আমরা