পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কাজেই বলছি কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতা নামক বস্তু আমার বিশ্বকোষে দাড়াতে পারে না । এই চাকরী আমি করছি ২.২২ বৎসর ধরে। আমিই অবশু্য বাঙলার একমাত্র চাকর নই, আরো হাজার হাজার এই ধরণের চাকর রয়েছে। সম্প্রতি শুধু আমার নিজের কথা বলছি। দরকার যখন হল, খালি গায়ে, খালি পায়ে, মুর্দীর দোকানে বসে, রাস্তায় দাড়িয়ে, যে বাঙালী ম্যালেরিয়ায় ভুগছে তাকে ম্যালেরিয়ার প্রতিকার সম্বন্ধে বই পড়ে শুনিয়েছি । যেমন লোকে রামায়ণ পড়ে শুনায়, মহাভারত পড়ে শুনায়, সেইরূপ ম্যালেরিয়া বা সমবায় সম্বন্ধে বই পড়ে শুনিয়েছি । অথবা লোক বাহাল করে, “কথক” লাগিয়ে এই ধরণের পুথি পাঠের ব্যবস্থা কায়েম করেছি। এ এক প্রকার জ্যান্ত চলন্ত-পাঠাগার বা লাইব্রেরী বিশেষ। দরকার হল, নতুন বীজের তরীতরকারী পাড়াগায়ে সুরু করা গেল । অথবা মুরু করার জন্ত ব্যবস্থা করা হল । কোথাও এক কাচ্চ ংস্কৃত, কোথাও এক ছটাক ইতিহাস, কোথাও এক পোয়া ভূগোল এই ধরণের সওদা নিয়ে পাঠশালা চালিয়েছি। আবার কোথাও বা দরকার মাফিক “নাইট ইস্কুল" করা গেল । আমার নাম যুবক এশিয়া টেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। ঘটনাচক্রে সস্তায় কিস্তা পেয়ে হাজির ঈজিপ্টের কায়রো নগরে। তারপর লগুনে, নিউইয়র্কে, স্তানফ্রান্সিসকোয়, হনুলুলুতে, জাপানে, কোরিয়ায়, মঙ্গোলিয়া-মাঞ্চুরিয়ায়, চীনে। সব জায়গায় চলেছি, ঘুরেছি, ফিরেছি বাংলার চাকর হিসাবে, যুবক বাংলার সেবক হিসাবে । ইংরেজের ইয়াঙ্কির জিজ্ঞাসা করেছে “কিরে ! তোর নাম কি ?” বলেছি “আমার নাম ১৯৯৫ সন” । তার په r٦ي