বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নাম যুবক এশিয়া 8§ ዓ বলেছে “এ তো হেঁয়ালী।” কাজেই বিলাতী মার্কিণ সমাজের কোথাও কোথাও সোজা কথায় বলেছি,—“আমার নাম যুবক ভারত।” তারপর বৎসর দেড়চেষ্ট জাপানের পল্লীতে পল্লীতে, চীনের পল্লীতে পল্লীতে, কোরিয়ার পল্লীতে পল্লীতে, মাঞ্চুরিয়ার পল্লীতে পল্লীতে চাষীর সঙ্গে, মজুরের সঙ্গে, মেথরের সঙ্গে, পণ্ডিতের সঙ্গে, মন্ত্রীর সঙ্গে, মান্দারিণের সঙ্গে, ব্যবসাদারের সঙ্গে, চিত্রশিল্পীর সঙ্গে মাখামাখি করে প্রশান্ত মহাসাগরের অপর পারে আবার ফিরে এলাম। একবার ইয়াঙ্কিস্থানের লোকেরা যখন জিজ্ঞাসা করেছে, “কি নাম তোর ?” বলেছি “আমার নাম যুবক এশিয়া ।” তারপর ফরাসী, জম্মাণ, অপ্পি,মান, সুইস বা ইতালিয়াম চাষী, মজুর, পণ্ডিত, ব্যবসাদার, চিল-শিল্পী, কবি, বিজ্ঞানবীর ইত্যাদি লোক যখন জিজ্ঞাসা করেছে, “কি নাম তোর ?” বলেছি “আমার নাম যুবক এশিয়া ।” সেক্ট ১৯০৫ সন থেকে আজ পৰ্য্যস্ত চলেছি যুবক বাংলার সেবক হিসাবে । সব চাকর সমান নয় ; কৰ্ম্মদক্ষতা, গুণপনা সব চাকরের সমান হতে পারে না । আমার কোন গুণপনা আছে কিনা, কৰ্ম্মদক্ষতা আছে কিনা সে সব জরীপ করব!ধ অবসর অমর কখনও জুটে নি আর জুট্ৰবেশ না । কেননা আমার মন্ত্র মাত্র এক— “যদিও এ বাহু অক্ষম তর্কবল তোমারি কার্য্য সাধিবে ।" তাই আমার আর-কিছু জানবার দরকার হয় না । এমন কি, আমি কি পারি, কি না পারি তা পর্য্যন্ত বুঝে দেখবার অবসব পাই না । ১৯০৫ সনের বাণী বিদেশীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে,—“কিহে বাপু, মতলব কি ?” “আমি কি জন্ত এসেছি ?” বলেছি, “আমি এসেছি লড়াই করতে, শক্তি