বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ՀԵ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পরপ করতে, শক্তিমানদের দৌড় দেখতে। ‘হাত-পার জোরে মাথার জোরে শক্তিমানেরা পূজা পায় এই হচ্ছে আমার আর এক মন্তর। মি রয়েছি যুবক বাংলার এক অতি সামান্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ, এস হাতাহাভি করি, পাঞ্জা কশাকশি করি ।” তংরেজ-ফরাসী-জাপানীজাৰ্ম্মাণ সকলে বলেছে “তাইত এ লোকটা অগ্নিস্ফুলিঙ্গই বটে। ১৯০৫ সন ছাড়া আর কিছু বলে না।” ১৯৯৫ সনটা কি ? সেটা এই । উনবিংশ শতাব্দীতে জ্ঞান, বিজ্ঞান, কৰ্ম্মদক্ষতা, শিল্প, বাণিজ্য, সাহিত্য, রাষ্টনৈতিক আন্দোলন—সকল বিষয়ে দুনিয়া চলেছিল একমুখে হয়ে । তা হচ্ছে এশিয়ার নিয্যাতন আর দুনিয়ায় ইয়োরামেরিকার একাধিপত্য-বিস্তার । তার বিরুদ্ধে যখন একটা নবশক্তি জেগে উঠ ল—মথুরিয়ার পোট আর্থার যার এক খুটা, —বাঙ্গালীর জীবন-সংগ্রামেও তার একটা কণা ছিটকে এসে পড়েছিল । সেই জীবন-কণার সোআদ বিতরণ করাই আমার মতলব । রকম সকম দেখে মাfকণদের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফ্রান্সের প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়, গোটা দুয়েক ফরাসী আকাদেমী, বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি নানা লোকে ডেকে এসে বল্লে,—“আয়, দিচ্ছি আসন পেতে । বকে’ যা যুবক এশিয়ার বাণী ।” তা ছাড়া জগতের কতকগুলা নং ১ শ্রেণীর মাসিক, ত্রৈমাসিক বা পরিষৎ-পত্রিকা আমাকে আমার বক্তব্য আওড়ে যাবার অধিকার দিয়েছে : সৰ্ব্বত্রই চালিয়েছি হাতাহাতি আর মারামারি । আপনারা জানেন আমার বিদ্যাবুদ্ধি বেশী কিছু নাই । রেল গাড়ীতে, ষ্টিমারে, গাধার পিঠে, রাস্তায় রাস্তায় টহল মেরে, লোকজনের সঙ্গে গা বেশার্বেশি করে কুচারটা কথা শিখেছি মাত্র । তা সত্ত্বেও বিদেশের গলিঘোচে,—বাঙ্গালী জাতির যে যেখানে যা কিছু করছে—নামজাদ