বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8\లిచి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন তাদের কৰ্ম্মশালা দেখিয়েছে, ল্যাবরেটরি দেখিয়েছে, সংগ্ৰহালয় দেখিয়েছে, হাসপাতাল দেখিয়েছে, লাইব্রেরী দেখিয়েছে, মিউজিয়াম দেখিয়েছে । তারা জানে যে, এই সব দেখে শুনে যা পারি অমি ঘাড়ে করে নিয়ে গিয়ে নবীন বাংলায় ফেলবই ফেলব। এই বুঝে ৬৫।৭০।৭৫ বছরের বুড়োরাও—নামজাদা পণ্ডিত অবশু সবাই,—তবে এখানে আর তাদের নাম প্রচার করে দরকার নাই—আমাকে ডেকে খাইয়েছে, তাদের পরিবারে পরিচয় করিয়েছে, ভাব করিয়েছে। সকলেই ভাইয়ের মত, আপনার এক জনের মত ব্যবহার করেছে । চীনা, জাপানী, ফরাসী, ইংরেজ, জাৰ্ম্মাণ, মার্কিণ, সকল মুল্লুকেই ভাই পেয়েছি। মিশরচানের মুসলমান নরনারী এই বাঙ্গালী ইন্দো-বাচ্চাকে আপনার জনই ভেবেছে । জুনিয়ার কোথা ও বিদেশী ভাবে জীবন কাটাতে হয় নি । এই সকল অভিজ্ঞতায় বাঙলার নরনারীকে আমারই সঙ্গে একত্রে ধনী করে তুলবার চেষ্টা সৰ্ব্বদাই করেছি। অভিজ্ঞতাগুলা বাসি করে ফেলে রাখিনি। সবই বাঙ্গালীর পাতে পাতে টাটুকা পরিবেষণ করেছি। নিজে গিয়ে বিদেশ দেখে একমাত্র নিজের অভিজ্ঞতা বা বিদ্যাবুদ্ধি ও কৰ্ম্মদক্ষতা বাড়ানো যেতে পারে । কিন্তু বাঙ্গালী জগতের চাকর আমি । আমার পক্ষে এরূপ করা অসম্ভব । এক সঙ্গে পচি সাত হাজার বাঙ্গালীকে গোটা দুনিয়া দেখিয়ে এনেছি। বাঙ্গালী জগত এক সঙ্গে বর্তমান জগৎ দেখেছে। সভ্যতায় পূৰও নাই পশ্চিমও নাই আপনার জানেন,—পণ্ডিতেরা তর্ক করছে কোনটা পূব কোনটা পশ্চিম ! সভ্যতা-শাস্ত্রে, সমাজ-বিজ্ঞানে, ইতিহাস-বিদ্যায় এ এক তুমুল লড়াই। আমি দেখছি পুৰও নাই পশ্চিমও নাই। পশ্চিমও পশ্চিম