বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নাম যুবক এশিয়া 8\වථ নয় আর পুত্বও পূব নয়। ধরুন প্রশান্ত মহাসাগরের এক পারে জাপান আর এক পারে আমেরিকা। এদের পূর্বই বা কে আর পশ্চিমই বা কে ? মামুলি ভূগোল অনুসারে আমেরিকা জাপানের পক্ষে নিশ্চয়ই পূৰ্ব্বদেশ। কিন্তু "সভ্যতা"র হিসাবে আমেরিক কে পশ্চিম বলা আজকালকার পণ্ডিতমহলে দস্তুর । জাপান নিশ্চয়ই ভৌগোলিক হিসাবে আমেরিকার পশ্চিম অথচ দুনিয়া তাকে বলছে পূব !! এইখানে তৰ্কশাস্ত্রের একটা জবর গলদ চলেছে। বিদ্যার রাজ্যে আমি হচ্ছি এই গলদের যম । দুনিয়ার লোককে,—কেষ্টবিষ্ট, ইন্দ্র, চন্দ্র, বরুণ, যম সবাহকেই অামি বলেছি সোজা কথা । তার সারমর্শ এই— “ভারতবর্ষের লোক, এশিয়ার লোক এবা ৎ বক্তমাংসের মানুষ । তার মানে কি ? তথাকথিত পশ্চিমারা, ত্রে রা, যেমন রক্ত-মাসের মানুষ, আমরাও, তথাকথিত পূরবীরাও, সেইরূপ । ক্ষিধে পেলে তোরা খাস, ঘুম পেলে ঘুমোস। আমবাহ ক্ষিধে পেলে খাই আর ঘুম পেলে ঘুঘাট । অথচ তোদের হেগেল, ম্যাক্সমুলার, তোদের বাকল, কুজা, গবিদ্যো, আর একালের নোদের হাণ্টিংটন—একশ বৎসর ধরে নিয়াকৈ শেখাচ্ছে, ‘এশিয়ার লোক কোনো দিন সাংসারিক কাজে পটুতা দেখতে পারে নি । এশিয়ার লোক একমাত্র পরলোকের চিন্তা করেছে । ইয়োরোপের ধাত অন্য রকমের ” এই ‘ব। ত’ট। বিশ্লেষণ করা, এই তথাকথিত “জাতীয় আদর্শ গুলা জরীপ করা, নানান জাতের মাথার ঘাটা ওজন করে বেড়ানো আমার বিদ্যা-সেবার অন্তর্গত । হিন্দু জাভির শক্তিযোগ সোজা কথা সকলকে মল্লযুদ্ধে ডেকেছি আর ডাকৃছি। আর বলছি,—রক্তমাংসের স্বধৰ্ম্মটা ইতিহাসের ইঁট-কাঠ-কামড়াকামড়ির ভিতরই পাকড়া ও করতে হবে । ७क्छ, भन-अङ অলীক দর্শন কায়েম করে’ ミbア