পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার নাম যুবক এশিয়া 88 . কি ৩৬ নম্বর বই। আর মজার কথা,—সেটা আমার একপ্রকার প্রথম বই। নাম “প্রাচীন-গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা” । এতেই বুঝিতে পারছেন পশ্চিমমুখো আমি কখন থেকে । তখন আমাৰ বয়স চব্বিশ পার হয় নি । আমার ব্যবসা হচ্ছে,—দেশের দুঃখ-দারিদ্র-দৈন্ত কোথায় তা খুজে বের করা । সেটা যদি দেশকে নিন্দ করা হলেন আপত্তি নেই । দেশের দাওয়াই যদি পশ্চিম থেকে আমদানি করাটা পাপ হয়, সেই পাপ আমার চরিত্রে আজ নতুন-কিছু নয়। আমি দেশের চাকর-চাকরের ব্যবসা মনিবের অভাব পূরণ করা । কলিকাতায় ফিরে আসলার পর আজ বছৰ থানেক যাচ্ছে । এষ্ট বৎসরের ভিতর সুযোগ পেয়েছি কিছু কিছু নানা রকম লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে । যারা বলছে "হান কবতে চাহ ত্যান করতে চাই” তাদের সকলকে বলেছি “কর, করে যা, যে যা পারিস - গত তিন চার দিনের ভিতর হাওড়া জেলার মাজুতে আর শাস্তিপুরে নানা রকম প্রস্তাব ঝেড়েছি । এই সব প্রস্তাবের ভিতর সেই ১৯ ৫।১ • ইত্যাদি যুগের দেশ-ধৰ্ম্মষ্ঠ একমাত্র কপী । যুয়াল-চুয়াঙের বস্তা আমাদের দেশে যুয়ান-চুয়াঙ নামে চীনের একজন পণ্ডিত এসেছিল । সে হচ্ছে চীনেদের সমাজে প্রয় ভারতীয় শঙ্করাচায্যের মত নামজাদা । আবার যুয়ান-চুয়াঙ কৰ্ম্মবীর, ধুরন্ধর লোকও বটে। পনর-যোগ বৎসর ভারতে বসবাস করে সে বস্তা ব ও মাল গাধার পিঠে, উটের পিঠে চাপিয়ে ভারতবর্ষ লুটে নিয়ে গিয়েছিল । চীনে গিয়ে দেখে—তার মনিব তাঙ তাইচুঙ, মারা গেছে । তখনকার সম্রাট যিনি তিনি বল্পেন—“আমি অবশ্ব তোকে চিনি না । কিন্তু তোকে সাহায্য করতে চেষ্টা করব । লেগে যা। দেখি কদর করতে পারিস।” এই যে যুয়ান-চুয়াঙ বস্তা