পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88것 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ৰস্তা মাল নিয়ে গিয়েছিল তাই দিয়ে ভাবতবৰ্ষকে সে প্রচার করতে চেয়েছিল চীনে । কি করা হল ? বাদশাহী বন্দোবস্তে কতকগুলি লোককে খরচ-পত্র দিয়ে পড়ানো হল । তারা ভারতবর্ষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, উপনিষদ, তন্ত্র, রসায়ন, চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন—যত রকম যা কিছু থাকতে পারে—সবগুলিকে চীনা তর্জমার সাহায্যে চীনা করে’ ছাড়লে । ভারতবর্ষ থেকে যে জিনিম চীনে গিয়েছে সব জিনিষকে তারা “বৌদ্ধ” সমঝে নিয়েছে। চীনে ভারতবর্ষের লজিক, থিয়েটার মায় ডাণ্টাগুলি সবই “বৌদ্ধ" | চীন-জাপানের ভাষায় ভারতবর্ষের অর্থ স্বর্গভূমি ( তিয়েনচু বা তেন-জি-ক কেন না বুদ্ধদেব এখানে জন্মেছেন অতএব বুদ্ধদেবের দেশ থেকে যা কিছু এসেছে সবই বৌদ্ধ । তারপর চীনে পাচ সাত শত বৎসরের যে যুগ তাকে প্রকাও ভারতীয় যুগ বলা যায়। স্থঙ আমল আব বাংলার সেন রাজাদের যুগ সমসাময়িক । এই দুই আমল এশিয়ার অন্যতম চরম গৌরবের যুগ । যে সময়ে চীনা বাদশারা ভারতীয় জিনিষগুলাকে চীনের পল্লীতে পল্লীতে প্রচার করেছেন, তখন বাংলা দেশে সংস্কৃত সাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ অবস্থা । সেই যুগটা চীনে সতসতাই বৃহত্তর ভারতের যুগ । যুয়ান-চুয়াঙের ভারতীয় বস্তা গুলা চীনে "বৃহত্তর ভারত" প্রতিষ্ঠার কাজে খুব বড় সাহায্য করেছে সন্দেহ নাই । চাই ভারতে আটলান্টিকের ক্ষুন যুয়ান-চুয়াঙের বস্তা ছিল । আমার তাবে বস্তা নাই ! গাটরি বোচক পৰ্য্যন্ত নাই । দুনিয়ার সম্পদ লুটে আনবার মতন ঝুলিও একটা আমার ছিল না। তবে যুয়ান-চুয়াঙের সাধনা আমার আছে। ভারত-সেবক আর বাংলার চাকর হিসাবে আমি দুনিয়াকে ভারতে স্বপ্রতিষ্ঠিত করতে চাই । বিশ্বশক্তির স্রোত যাতে গঙ্গা-গোদাবরীতে বয়ে যেতে পারে তার চেষ্টা করাই আমার লক্ষ্য ।