বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( දම් ) হইল। এই কথাটা জানিয়া রাখিলে গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলা কিছু নূতন আলোক পাইতে পারিবে । অধিকন্তু বর্তমান গ্রন্থ বিনয়বাবুর পচিশ-ছাব্বিশ বৎসরব্যাপী লেখাপড় ও অনুসন্ধান-গবেষণার ফল । কাজেই প্রথমবারকার বিদেশ ভ্রমণের ( ১৯১৪ এপ্রিল ) পূৰ্ব্ববত্তী কালের সাহিত্য-চৰ্চাও এই উপলক্ষ্যে কিছু কিছু উল্লেখ করা যাইতেছে । ১৯৯৬ সনে যখন “বঙ্গদেশস্থ জাতীয় শিক্ষা পরিষৎ" প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় বিনয়বাবু এই প্রতিষ্ঠানের দিকে বাংলা ও ইংরেজি সংবাদ পত্রের সাহায্যে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । এই মৃত্রে বাংলা ও ইংরেজি রচনার এক সঙ্গে আরম্ভ হয় । ১৯০৭ সনের জুন মাসে তিনি বিপিন বিহারী ঘোষ, রাধেশচন্দ্র শেঠ ইত্যাদি স্থানীয় জন-নায়কগণের সাহায্যে মালদহে জাতীয় শিক্ষা সমিতি প্রতিষ্ঠিত করেন । তখন বাঙ্গলায় স্বদেশী আন্দোলন চলিতেছিল। সমিতি প্রতিষ্ঠার উপলক্ষ্যে তিনি “বঙ্গে নবযুগের নূতন শিক্ষা” নামক প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন। তাহার সঙ্গে ‘নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” গ্রন্থের আত্মিক যোগ লক্ষ্য করা কঠিন নয় । একালের মত সেকালেও তাহার রচনাবলী প্রথমে পত্রিকায় ও পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হইত। ১৯১• সনে এই সমুদয় রচনা গ্রন্থাকারে বাহির হইতে স্বরু করে। বাংলা বইগুলার নাম নিম্নরূপ —(১) শিক্ষা বিজ্ঞানের ভূমিকা (৪৮ পৃষ্ঠা ১৯১৭) হীরেন্দ্ৰ নাথ দত্তের ভূমিকা সমন্বিত । (২) প্রাচীন গ্রীসের জাতীয় শিক্ষা (১৭৫ পৃষ্ঠা ১৯১১), প্রকাশক বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ,—অধ্যাপক বিনয়েন্ত্র নাথ সেনের ভূমিকা সমন্বিত । (৩) ভাষা শিক্ষা ( ১২০ পৃষ্ঠা ১৯১২ ), (৪) সংস্কৃত শিক্ষা ( ৩২০ পৃষ্ঠা ১৯১২ ) (৫) ইংরেজী শিক্ষা ( ২২ • পৃষ্ঠা ১৯১২ ) । (৬) ঐতিহাসিক প্রবন্ধ ( ১২৪ পৃষ্ঠা, ১৯১২ ), রামেন্দ্র সুন্দর