૨ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন AAAAAA AAAA ASAS A SAS SSAS SSAeeeS E AAAA AAAA AAAA AAA AAAA AAAAe AAeeeAAA AAAA AAAA AAAASAAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAAS AAAAAA SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAeeS SeeS S S S S S সাংবাদিক, দর্শনাধ্যাপক, রাষ্টিক, সমাজ-সমালোচক, ধৰ্ম্মপ্রচারক, সকল আসরেই পশ্চিমের পঞ্চভূ-প্রাপ্তি এক প্রকার প্রথম স্বতঃসিদ্ধরূপে স্বীকৃত হইয়া গিয়াছিল। পাশ্চাত্য সভ্যতাকে, “পশ্চিমের আদর্শ”কে এবং ইয়োরামেরিকার সমাজকে কেওড়াতলায় পাঠাইয়াই ভারতীয় দার্শনিক-বৈজ্ঞানিকপণ্ডিতেরা নিজ নিজ আলোচনা খতম করেন না । সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়ার বাজারে বাজারে প্রাচ্যকে, পূরবী “আদর্শ”কে, এশিয়ার সভ্যতাকে একচ্ছত্র রাজত্ব ভোগের দলিল দেওয়াও আমাদের অনুসন্ধান-গবেষণার একটা বিশিষ্ট লক্ষণ । এশিয়া দুনিয়াকে চালাইবে,— আর এশিয়ার ব্রাহ্মণ যে ভারতসন্তান সেই ভারতসন্তানই বিশ্ববাসীকে মানুষ করিয়া তুলিবার ভার পাইতেছি, এইরূপ চিন্তাপ্রণালী ভারতীয় নরনারীর ঘাটিতে ঘাটিতে যারপর নাই প্রবল আকারে দেখা যায়। কিন্তু কি পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কারকের কৰ্ম্মনিষ্ঠ আদর্শবাদ ও ভাবুকতা, কি ভারতীয় সভ্যতার দাবী-প্রচারকের আকাশকুমুম-কল্পনা, —উভয়েরই পশ্চাতে একটা বিপুল শ্লোজামিল ও হযবরল বিরাজ করিতেছে । এই গোজামিল ও হযবরল’র দরুণ পশ্চিমা আদর্শবাদীদের বেশী কিছু ক্ষতি বুদ্ধি হয় না । কেননা,–সংস্কারকের চাবুক খাইয়া খাইয়া ইয়োরামেরিকার নরনারীরা সৰ্ব্বদা সজাগভাবে নিজ নিজ সমাজ, রাষ্ট্র, আর্থিক ব্যবস্থা ও ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম শুধরাইয়া লইতে বদ্ধপরিকর । কিন্তু ভারতে আমরা পশ্চিমের নিন্দ, দুৰ্গতি এবং তথাকথিত সৰ্ব্বনাশের সংবাদ প্রচার করিয়া অতি মাত্রায় আলস্ত এবং নিশ্চেষ্টতার প্রশ্রয় দিতেছি মাত্র। “ছোট মুখে বড় কথা” যে বস্তু আজকালকার ভারতসন্তানের পক্ষে বিশ্ববাসীর উপর গুরুগিরি চালাইবার কথা আলোচনা করা তাহার চেয়েও খারাপ কিছু। যুবক ভারতের চিস্তা ও কৰ্ম্মকে একদম জাহান্নমে
