পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন তুনিয়ার সূত্রপাত VI পাঠাইতে যাহার। চান, একমাত্র তাহাদের পক্ষেই পশ্চিমা সভ্যতা ও অদশের গঙ্গাযাত্রা প্রচার করা শোভা পায় । কোনো কোনো পশ্চিমা আদর্শবাদী পশ্চিমের নিন্দ প্রচার করিয়াছেন । র্তাহাদের কথাগুলি পূরবী আমরা বিনা বিচারে বেদবাক্যের মতন গিলিয়া ফেলিব কেন ? সভ্যতার প্রত্যেক ধাপে, যুগে আর স্তরেই স্ব-কু দুইই থাকে। কাজেই প্রত্যেক অবস্থায়ই সমাজসংস্কারকেরা কু'র অখ্যাতি রটাইতে বাধ্য, এবং তাহার ঠাইয়ে নতুন কিছু কায়েম করিবার জন্ত উঠিয়া পড়িয়া লাগ তাহদের পক্ষে স্বাভাবিক। পশ্চিমের পরিবার, পশ্চিমের সামাজিক লেন-দেন, পশ্চিমের দেশ-শাসন, পশ্চিমের মজুর-কিষাণ আজ যে অবস্থায় আসিয়া দাড়াইয়াছে, সেই অবস্থায় সেখানকার ঘরে-বাইরে নানা অসম্পূর্ণতা থাকিতে পারে, এবং অাছেও নিশ্চয় । পশ্চিমের স্বদেশ-সেবকেরা নিজ নিজ দেশোন্নতির জন্য চৌপর দিনরাত নয়। নয়। মেসাবিদা করিবে ইহাতে আশ্চর্যের কি আছে ? কিন্তু পশ্চিমে আজ ১৯২৫ সনে যে-যে গলদ দেখা দিয়াছে তাহার বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নালিশগুলা স্বাভাবিক বলিয়া কি প্রাচ্যের নরনারীও —আহাম্মুকের মতন বুঝিয়া-না-বুঝিয়া,—পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রাচ্যের বর্তমান “কোঠ” হইতে এই সকল তিরস্কার বেমালুম চালাইতে অধিকারী ? যদি কোনো পশ্চিমা দার্শনিক কোনো পূরবীকে পশ্চিমের উপর গালিগালাজ করিবার এইরূপ অধিকার দিয়া বসেন, তাহা হইলে বুঝিতে হইবে যে, দার্শনিক মহাশয় তুলনামূলক সমালোচনার মাপকাঠি সম্বন্ধে আনাড়ি । আধুনিক পশ্চিমের সভ্যতা, জীবনধাত্র-প্রণালী এবং আধ্যাত্মিক ধরণধারণ, আজকালকার প্রাচ্যসমাজ, আদর্শ ও আধ্যাত্মিকতার অনেক ধাপ উপরে অবস্থিত,—এই কথাটা তাহার অজানা, অথবা জানা থাকিলেও