বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন র্তাহার জ্ঞান এই সম্বন্ধে নেহাৎ অস্পষ্ট ও ধোয়াটে । কাজেই তাহার চিন্তাপ্রণালীতে গণ্ডগোল অথবা হেঁয়ালিময় ভাবুকতাপূর্ণ বস্তুনিষ্ঠাহীন মিথ্যারাশি প্রবেশ করিয়াছে। পশ্চিমা মিথ্যার উপর ভর করিয়া ভারতীয়ের মোজামিলে-ভরা অসংখ্য বুজ রুকি চালাইতেছেন । মোটের উপর, দুনিয়ার চিন্তাক্ষেত্রে একটা গোলক-ধর্ণধার চক্রান্ত চলিতেছে । ধরা যাউক যেন, আমি পাঠশালায় ভক্তি হইয়া দু-দুগুণে চার, চারদুগুণে আট ইত্যাদি মুখস্থ করিতে করিতে হয়রাণ হইয়া পড়িলাম। তাহার পর আর অগ্রসর হইতে পারিলাম না। কিন্তু ঐটুকু দখল করিতে করিতেই “ইচড়ে পাকা” হইয়া বসিলাম । আর আমার মুখে “বাণী” বাহির হুইল,--“আiঃ ! দুনিয়া কি অনন্ত | জ্ঞান-বিজ্ঞান কি অসীম ! জগতের কিনারা পাওয়া কি মুখের কথা ?” ইত্যাদি ইত্যাদি । এই “অসীম”-তত্ত্ব প্রচার করিয়া আমি হয়ত একটা প্রকাও সত্যই প্রচার করিলাম সন্দেহ নাই । সঙ্গে সঙ্গে হয়ত খানিকটা নিজের নম্রতা এবং “জ্ঞানে মৌনং”ই বা জাহির করা হইল। কিন্তু নিউটন যখন নিজকে জ্ঞান-সমুদ্রের কিনারায় মাত্র অবস্থিত দেখে, আর অসীমের ইঙ্গিত করে, সেই বিনয় কি আমার শটুকে মুখস্থ করার পর অন দ্যস্ত দুনিয়ার অসীমতা প্রচারের সমান ? অথবা আইনষ্টাইন আজ গণিত আর পদার্থ-বিজ্ঞানের যে কোঠায় দাড়াইয়া বলিতেছেন যে, “জুনিয়ার সীমানা এখনো চোখে ঠেকিতেছে না, চিন্তায়ও কল্পনা করিতে পারিতেছি না” সেই কোঠার অসীম-তত্ত্ব আর নিউটনের অসীম-তত্ত্ব কি একহ বস্তু ? না, আমার ছদ্বগুণে চার, চার-ছগুণে আট ইত্যাদির দৌড় আর আইনষ্টাইনের অঁাক কযা একই আখড়ার মাল ? নিউটনের অসম্পূর্ণত দেখাইতেছেন কোনো কোনো পশ্চিমা সুধী। আবার কেহ কেহ বা আইনষ্টাইনেরও গলদ বাহির করিতে লাগিয়া গিয়াছেন । কিন্তু তাহ