বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ગ ૨ নয়া বাঙ্গলার গোড়া-পত্তন শেষি। কাজেই রাইয়ত-প্রধান ভারত-সন্তানের পক্ষে আধুনিক পাশ্চাত্য জীবনের আধ্যাত্মিকতা সহজে হজম করা সম্ভব নয়। তাহার উপর ১৮৯৫ সনের পর হইতে জাৰ্ম্মাণিতে এবং জাৰ্ম্মণির দেখাদেখি ডেনমার্কে, ইংল্যাণ্ডে এবং অন্যান্ত দেশে জমিহীন মজুরকে ছোট ছোট জমির মালিকে পরিণত করা হইতেছে। আর ছোট ছোট মালিককে কথঞ্চিৎ বড় মালিক দাড়াইয়া যাইবার সুযোগ দেওয়া হইতেছে । কিন্তু এই সকল জমি জুটিতেছে কোথা হইতে ? বড় বড় জমির মালিককে নিজ নিজ সরকারের নিকট জমি বিক্ৰী করিতে বাধ্য করা হইতেছে । কোনো জাৰ্ম্মাণ জমিদার এক্ষণে ৮e •।৯০০ বিঘার বেশী জমি নিজ দখলে রাখিতে অধিকারী নয়। বড় বড় জমিদারদের জমি কিনিয়া গবর্ণমেণ্ট মজুরদের নিকট অথবা ছোট ছোট জমির মালিকদের নিকট সহজ সর্তে বিক্ৰী করিবার ভার লইতেছে। এই গেল পুনর্গঠিত জাৰ্ম্মণির ১৯১৯ সন । যে বৎসর দুনিয়ার হেঁয়ালি-প্রচারক, ভাবপন্থীরা ভাবিতেছিলেন যে, পাশ্চাত্য সভ্যতা খাটে উঠ উঠ", সেই বৎসরই নতুন জীবন-যৌবনের ডিক্ৰী হাতে করিয়া পশ্চিমের নরনারী জমি-জমা সম্বন্ধে একটা আধ্যাত্মিক বিপ্লব খাড়া করিয়াছে । এশিয়ায় ( বিশেষতঃ ভারতে ) বোধ হয় এই বিপ্লবের কাহিনী এখনো পৌঁছেই নাই। পৌছিলেই এশিয়ায় নরনারী আঁত কাইয়া উঠিয়া বলিতে থাকিবে,—“তাইত ! এ যে বোলশেহির্বকীর লঙ্কাকাও ?” ভিতরকার কথা, এসব আইন বোলশেহির্বক পথের লাগাও কোনো কোনো পথে চলিতেছে বটে। কিন্তু খাটি বেলশেহিরজম আরও অনেক দূরে । কেননা রুশিয়ার সমাজ-সংস্কারকেরা জমিজমা “কাড়িয়া লয়",—{ অন্ততঃ পক্ষে লইত )—তাহার জন্ত মালিককে ক্ষতি পূরণের টাকা দিতে মাথা