বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন দুনিয়ার সূত্রপাত SS বিধানে নাই । পাশ্চাত্য নরনারী আজ যে ধরণের গভীর ও সুবিস্তৃত *আর্থিক স্বরাজ” ভোগ করিতে চলিল, তাহা আমাদের বর্তমান অবস্থায় স্বপ্নেরও অতীত । এই *আর্থিক স্বরাজ"টাকে এখনো খাটি বোলশেহ্যিক স্বরাজ বলিবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু মামুলি সোশ্বালিজমই একশ’ বৎসর টোল, থাইতে খাইতে এই অবস্থায় আসিয়া ঠেকিয়াছে। তাহা ছাড়া থাটি "রাষ্ট্রীয় স্বরাজের” রঙও সোস্তালিষ্টদের প্রভাবে ইয়োরামেরিকার সর্বত্রই বদলাইয়া গিয়াছে । “মজুর-রাজ” অথবা মজুরঘেষা রাষ্ট্রীয় দলের কর্তৃত্ব পশ্চিমা মুল্লুকের সর্বত্রই আজকাল এক প্রকার প্রথম স্বতঃসিদ্ধে দাড়াইয়া যাহতেছে। ভারতে এখনো খাটি মজুর ংখ্যা হিসাবে সমাজে বিশেয পুরুও নয়, আর প্রভাবেও কিছু প্রবল নয় । অধিকন্তু মজুরের রাষ্ট্রীয় দল অথবা মজুর-পক্ষীয় মস্তিষ্কজীবীর দল এখনো পরিস্কাররূপে দানা বাধে নাই । তবে বোধ হয় দানা বাধ’ বাধ’ হইয়াছে । কাজেই সোশ্বালিজমের দিগ বিজয়ের যুগে যুবক-ভারতের দৌড় কতটুকু তাহা সহজেই অনুমেয় । পশ্চিমাদের স্বরাজ কোথায় গিয়া ঠেকিতেছে, তাহা কোনো পুরাতনপন্থী নরনারীর পক্ষে কল্পনা করা এক প্রকার অসম্ভব। উদীয়মান নয়া স্বরাজের তুলনায় আজকাল ছনিয়ায় যে স্বরাজ চলিতেছে তাহাকে স্বরাজ বলাই চলিবে না । ১৯১৯-২ • সনের পাশ্চাত্য নরনারী সত্য সত্যই এক বিশাল নবজীবনের স্বত্রপাত করিয়া বসে নাই কি ? এখন জমিজমার কথা কিছু বলিব । ভারতে আজও জমিদারী প্রথার জয় জয়কার চলিতেছে, আর সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে "রাইয়ত”— “বাবু’র সম্বন্ধ । জাৰ্ম্মাণিতে এই ধরণের ব্যবস্থা চলিয়াছিল ১৮৪৮ পৰ্য্যন্ত । ফ্রান্সে এই প্রথা পঞ্চস্ব প্রাপ্ত হয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষা